এই পাঁচটি লক্ষনেই বুঝে যাবেন আপনার বিয়ে ক’রার সময় এসেছে কি’না
বিয়ে জীবনকে একটি নির্দিষ্ট পরিনতির দিকে ঠেলে দেয়, কারোর কাছে বিবাহিত জীবন ভীষন মজাদার, আবার কারোর কাছে তা নিতান্তই দুঃখের তবু জীবনের একটা সময়ে এসে আমাদের বেশিরভাগ মানুষের মনেই বিয়ে করার একটি সুপ্ত ইচ্ছা তৈরি হয়। তার মানে এই নয় আপনি তাড়াহুড়োয় সবটা সেরে নিলেন। এমন বেশ কিছু লক্ষন আপনার মধ্যে রয়েছে কিনা দেখে নিন, যদি সেগুলি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি বিয়ের জন্য উপযুক্ত। সেই লক্ষনগুলি কি কি আসুন জেনে নিই।
সঙ্গী ছাড়া একাকী জীবন কাটানো কষ্টকর। অনেকেই চান বিয়ে না করেই সারাজীবন কাটিয়ে দেবেন। যা একদমই ভুল সিদ্ধান্ত। তবে বিয়ের জন্য কিছু উপযুক্ত সময় থাকে যা আপনাকে আগে থেকেই ইঙ্গিত দেবে।
বিয়ে নিয়ে কম-বেশি সবারই কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে। তবে বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যত সহজ, বিয়ে করা কিন্তু অতটা সহজ নয়। নানা রকম দায়িত্ব-কর্তব্য এর সঙ্গে জড়িত। তাই হুট করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস করাটা বেশ কঠিন। তবে এর জন্য ভয় বা শঙ্কায় না থেকে দেখা উচিত যে বিয়ের জন্য আসলেই আপনি প্রস্তুত কিনা।
১) বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন। ভেবে দেখুন, আপনি আপনার সঙ্গীর বিভিন্ন দিকগুলো সহজে গ্রহণ করতে পারবেন কিনা। তার আকাঙ্ক্ষা, দুর্বলতা, অভ্যাস এবং মনমালিন্য হলে মানিয়ে নেয়ার জন্য আপনি প্রস্তুত কিনা। আর যদি পছন্দের মানুষ থাকে, তাহলে বিয়ের ব্যাপারে তার মত নিন। দুজনের মতের মিল হলেই বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন। কারণ সংসারে দুজনকেই মানিয়ে চলতে হবে। কেউ কারো ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দিলে দুজনের সম্পর্ক নষ্ট হয়।
২) যে মানুষটিকে আপনি ভালোবাসেন কিংবা পরিবার থেকে আপনার জন্য যাকে পছন্দ করা হয়েছে তার সঙ্গে কিছুটা হলেও সময় কাটান। তার সঙ্গে কথা বলতে যদি আপনি সহজ ও সাবলীল বোধ করেন, আপনার মনে হয় যে এই মানুষটিকেই আপনি খুঁজছিলেন, তাহলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
৩) লক্ষ্য ছাড়া পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আপনার লক্ষ্য কী তা ভেবে দেখুন? সবার আগে ভাবুন, সঙ্গী হিসেবে আপনি কেমন মানুষ চাইছেন। প্রয়োজনে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করুন। নিজের লক্ষ্যের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হতে পারলে বুঝবেন আপনার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় হয়েছে।
৪) বিয়ের জন্য আর্থিক এবং মানসিক নিরাপত্তা খুব দরকার। নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার আগে আবেগের বশে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে জীবন এলোমেলো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক একইভাবে যাকে বিয়ে করতে চাইছেন তার সঙ্গে সম্পর্কটা যদি নিরাপদ মনে হয় ,তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। মনে কোনো সন্দেহ থাকলে কিংবা সম্পর্ক নড়বড়ে হলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়।
৫) বিয়ের আগে মন থেকে পুরোনো সব সম্পর্কের স্মৃতি মুছতে না পারলে দাম্পত্য জীবনে সমস্যা হতে পারে। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভেবে দেখুন যে, পুরোনো কোনো সম্পর্কের প্রতি এখনো আপনার দুর্বলতা আছে কিনা। যদি না থাকে, তাহলে আপনার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় হয়েছে।