উত্তরাখণ্ডে ধেয়ে আসছে বিপর্যয় অনেক আগেই টের পেয়েছিল অলকানন্দার মাছেরা
প্রাকৃতিক বিপর্যয় পৃথিবী আজ বিধ্বস্ত কখনো ভূমিকম্প, কখনো বন্যা কখনো ঝড় বৃষ্টি আস্তে আস্তে বোধহয় আমরা কলিযুগের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি আর পৃথিবীতে কোনভাবেই বাঁচানো সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত গোটা বিশ্ব করোনার থাবায় ক্রমশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার সাথে সাথে প্রকৃতিও প্রচন্ড বিরক্ত মানুষের উপরে। এক সময় এই প্রকৃতির কোলেই মানুষ তাদের বসবাস করে তুলেছিল। প্রকৃতি মা রূপে মানুষকে কোলের মধ্যে নিয়ে রেখেছিল কিন্তু মা বুঝতে পারেনি সেই মানুষই তার ধ্বংসের প্রধান কারণ হবে।
মানুষ উন্নতির শিখরে উঠতে চেয়েছিল। উঠেছেও, কিন্তু এত অত্যাচার এত কালিমায় প্রকৃতি নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। দম বন্ধ হয়ে গেছে একেবারে। ঝড়-বৃষ্টি আম্ফান ভূমিকম্প এবং হিমবাহের গলনের ফলে বন্যা সমস্ত কিছু করে প্রকৃতি বুঝিয়ে দিচ্ছে সেও তান্ডব দেখাতে পারে এতদিনে তার উপর যা অত্যাচার হয়েছে একটা একটা করে শোধ তুলছে প্রকৃতি।
প্রকৃতির এমন খামখেয়ালিপনা প্রথম বুঝতে পারে প্রাণীরা। ভূমিকম্পের আগে সব সময় দেখা যায় কুকুরা প্রচণ্ড চিৎকার করছে অকারনে, অথবা মাটির ভেতর থেকে পিঁপড়েরা হঠাৎ করে দলবেঁধে বেরিয়ে পড়তে শুরু করে। বন্যা হবে এমন তো বুঝতে পারলেই কেঁচো মাটি খুঁড়ে কোন ক্রমাগত বেরিয়ে আসে। ভূমিকম্পের ঠিক আগে পাখিরা তাদের নিজের বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে। এমন কত ঘটনার সাক্ষী আমরা প্রত্যেকেই হয়েছি।
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙ্গে গিয়েছে বিপর্যয় ঘটেছিল সেই ঘটনার আজ পেয়েছিল অলকানন্দার মাছেরা। শোনা যায় তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত ব্যবহার লক্ষ্য করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মাছেরা কেউ গভীর জলের মধ্যে যেতে চাইনি সব পাড় বরাবর যাতায়াত করছিল। এমন ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে নন্দ প্রয়োগ, লাঙ্গাসু, করণ প্রয়াগে। হঠাৎ করে এত মাছকে হাতের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা মাছ ধরার জন্য একেবারে হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনই কেউ খেয়াল করেননি জলের রং হঠাৎ করে বদলে গিয়ে ধূসর হয়ে যায় এবং ধেয়ে আসে ভয়ংকর জলরাশি।