Hoop PlusHoop TrendingTollywood

Sandhya Mukhopadhyay: ৯০ বছর বয়সে ‘পদ্মশ্রী’! অভিমানে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের

একসময়ে বাংলার আকাশে অন্যতম উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ছিলেন তিনি। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ গানে ভুবন ভুলিয়েছেন যিনি। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নাম তাঁর। যে নামটা মনে আসলেই বাঙালির বুক গর্বে আলোকিত হয়ে ওঠে। এমত গুণী মহিলা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আসা ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান কেন প্রত্যাখ্যান করলেন?

লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে ফোন এসেছিল সন্ধ্যা দেবীকে পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত করার দাবিতে। কথা সম্পূর্ণ হয়নি। মুহূর্তের মধ্যে ফিরিয়ে দিলেন প্রস্তাব। অভিযোগ তাঁকে এই বিষয়ে কেন জানানো হয়নি। সারা জীবন যে মানুষটি সংগীতের পিছনে সর্বস্ব ব্যয় করেছেন। এখন নব্বই বছর বয়সে এসে এই পত্রপাঠ সম্মানের কোনো প্রয়োজন নেই। স্বাভিমান-এ আঘাত পেয়েছেন নাকি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়?

১৯৭১ সালে ‘জয় জয়ন্তী’ এবং ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে মনোমুগ্ধকর সুরেলি স্বরে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা। ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়। বহু বছর আগে ‘গীতশ্রী’ খেতাবও পেয়েছিলেন। নতখন কোথায় ছিল এই পদ্মশ্রী। এমনই দাবি তাঁর ক্ষুব্ধ পরিবারের। সন্ধ্যা দেবীরও দাবি, তাঁর আগে অনেক কম বয়সী শিল্পীরাও এই সম্মান গ্রহণ করে ফেলেছেন তাই এখন সর্বশেষ হিসেবে ‘পদ্মশ্রী’ তাঁর কাছে তাঁর স্বাভিমান হত্যার সমান।

শুধু বাংলা নয় একাধিক ভাষায় গান এসেছে তাঁর কণ্ঠে। সমস্ত প্রজম্মেই তাঁর কন্ঠস্বর একই রকম নতুন। প্রখ্যাত শিল্পী গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তীর ছাত্রী হয়ে অপূর্ব গান গেয়ে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই সুরেলি কণ্ঠের অধিকারিণী। বিশেষত পঞ্চাশের শতকে উত্তম-সুচিত্রার ছবিতে সুচিত্রা সেনের লিপে সন্ধ্যা দেবীর গান ছাড়া অসম্পূর্ণ মনে হত সবকিছুই। নতুন প্রজন্মে যতই নতুন গানের সৃষ্টি হোক ‘মধুমালততি ডাকে আয়’,’ এ শুধু গানের দিন’ এই অনন্য সুরের সৃষ্টি কি ভোলা যায়?

whatsapp logo