করোনার পাশাপাশি ধেয়ে আসছে চরম বিপদ! জারি হল ভূমিকম্প ও সুনামির সর্তকতা
করোনা আবহে ভীতসন্ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। এরই মাঝে ঘটে গেল এক নতুন বিপদের সূত্রপাত। ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো দ্বীপ এলাকা। পাপুয়া গিনি থেকে ১৭৪ কিলোমিটার উত্তর এবং উত্তর-পূর্বের দ্বীপ এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৮.২০ মিনিটে হওয়া এই ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.২। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যদিও ব্যাপক তীব্রতার কারণে ক্ষয়ক্ষতি ও সুনামির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতাও।
অন্যদিকে চলতি মাসের ১৩ তারিখে চীনের তাংশান শহরেও তীব্র ভূমিকম্প দেখা গিয়েছিল। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৫.১। বিজ্ঞানীদের ধারণা ১৯৭৬ সালে তাংশানে ৭.৮ তীব্রতা সম্পন্ন ভূমিকম্পের আফটার শকই হল চলতি মাসের এই ভূমিকম্প। সাথে ভূ-বিজ্ঞানীদের একাংশের আশঙ্কা ওই অঞ্চল ফের তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে পারে। তখনও তীব্রতা থাকতে পারে ৫ এর কাছাকাছি।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী ১৯৭৬ সালের ২৮শে জুলাই পরপর ৭ তীব্রতার বেশি যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তার ফলে মারা গিয়েছিল প্রায় আড়াই লাখের কাছাকাছি মানুষ। উল্লেখযোগ্য, ১৯৭৬ সালের পর ওই অঞ্চলে ৪ তীব্রতার বেশি ভূমিকম্প হয়েছে ৩৩২ বার। শুধু তাই নয় ৫ তীব্রতা সম্পন্ন ভূমিকম্প হয়েছে মোট ৫ বার।