গণেশ চতুর্থীতে আরাধনা করুন সিদ্ধিদাতা গণেশের, পাবেন বাবার অসীম কৃপা
গণেশ চতুর্থী হলো হিন্দু দেবতা গণেশের এক বাৎসরিক পূজা। শিব ও পার্বতীর পুত্র গজানন, গণেশ হিন্দুদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা হিসাবে পূজিত হন। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই দিনে গণেশ তার ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে মর্ত্যে আসেন। সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল এবং তেলেগু ভাষায় এই উৎসব ‘বিনায়ক চতুর্থী’ নামে পরিচিত।
গনেশকে বিঘ্ন বিনাশকারী, শিল্প ও বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক এবং বুদ্ধি ও দেবতা জ্ঞানে পূজা করা হয়। বিভিন্ন শুভ কাজ, উৎসব অনুষ্ঠানের শুরুতে তারই প্রথম পুজো করার প্রচলন আছে। অক্ষর ও জ্ঞানের দেবতা হিসেবে ওনাকেই প্রথম আবাহন করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গনেশ পূজা হয়।
সাধারণত এই দিন ২০ শে আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে কোনো একদিন পরে দশ দিনব্যাপী উৎসব এর সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। ভারতের সব জায়গাতেই গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। তবে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, গুজরাট, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এই সমস্ত জায়গায় বেশি ধুমধাম করে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে গনেশ সংক্রান্ত একাধিক পৌরাণিক উপাখ্যান রয়েছে। এই উপাখ্যান গুলিতে গণেশের জন্ম বৃত্তান্ত, লীলা কথা, মূর্তি তত্ত্বের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।