জুন মাসে ঘটবে এমন দু’টি আ’শ্চর্য ঘটনা যা পৃথিবীবাসী আগে দেখেনি
পৃথিবী নিজ কক্ষপথে নির্দিষ্ট পথে সূর্যকে প্রদক্ষিন করে চলেছে। সৌরজগতের একমাত্র প্রানের অস্তিত্ব থাকা এই গ্রহটির অদ্ভুত কিছু রহস্যের সমাধান আজও বিজ্ঞানীরা করতে পারেননি। মহাজাগতিক ব্রহ্মান্ডে ঘটনা বলতে এরকমই দুটি বিরল ও অত্যাশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে পৃথিবীবাসী। ঘটনাগুলি ঘটতে চলেছে চলতি বছরের জুন মাসেই।
চলতি বছর পৃথিবীবাসী নতুন নতুন অনেক বিষয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই পরিচিত হয়েছে। মহামারি, ঘূর্ণিঝড়, পঙ্গপালের আ’ক্রমণ তো আছেই। এসবের পাশাপাশি মহাকাশেও ঘটতে চলেছে বিরল ঘটনা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিরল একটি মহাজাগতিক ঘটনা দেখা যাবে আগামী মাসে। প্রথমবারের মতো পৃথিবীবাসী একই মাসে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ দেখতে পাবেন। আগামী ৫ জুন চন্দ্রগ্রহণ এবং ২১ জুন সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ইন্ডিয়ান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, একই মাসে এমন দুটি ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।
পৃথিবী যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরল রেখায় অবস্থান করে। ফলে পৃথিবীর কোনো অঞ্চলে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এ ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। আবার চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোনো অঞ্চলে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এ ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা অনুসারে, চন্দ্রগ্রহণের চেয়ে সূর্যগ্রহণ বেশিবার হয়। প্রতি সাতটি গ্রহণের মধ্যে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের অনুপাত ৫:২ বা ৪:৩।
বিজ্ঞানীদের মতে, আগামী ৫ জুনের চন্দ্রগ্রহণটি হতে যাচ্ছে উপচ্ছায়া গ্রহণ। অর্থাৎ, এদিন পৃথিবীর হাল্কা ছায়া পড়বে চাঁদের ওপর। রাত ১১টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে চন্দ্রগ্রহণ। দেখা যাবে ১২টা ৫৪ মিনিটে। গ্রহণ থাকবে ৩ ঘণ্টা ১৮ মিনিট অর্থাৎ রাত ২টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। ভারত ও বাংলাদেশ থেকেও এই গ্রহণ দেখা যাবে। চলতি বছর আরো দুটি চন্দ্রগ্রহণ ঘটবে জুলাই এবং নভেম্বর মাসে। অন্যদিকে, ২১ জুনের সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস। শুরু হবে সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে। দেখা যাবে ১০টা ১৭ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ২ মিনিট পর্যন্ত। গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ৩টা ৪ মিনিটে।