ত্বকের যত্নে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে কলার খোসা, ব্যবহারেই ফল পাবেন হাতেনাতে
কলা খেয়ে আমরা সাধারনত কলার খোসা ফেলে দি। কিন্তু কলার খোসাতেও রয়েছে নানান গুণ। কলার খোসাকে আপনার রূপচর্চায় সঙ্গী করতে পারেন। জেনে নিন কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসাকে।
১) ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে কলার খোসা। যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানে কলার খোসাকে আস্তে আস্তে ঘষে নিন। সাময়িক আরাম পাওয়া যাবে।
২) দাঁত সাদা করতে কলার খোসা ব্যবহার করুন। দাঁত পরিষ্কার না হলে অনেক সময় অস্বস্তি হয়। অনেক বার ব্রাশ করার পরেও দাগের ওপরে হওয়া হলদে ছাপ কিছুতেই যেতে চায়না। কলার খোসাকে ভালো করে দাঁতের উপরের মাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পরে মুখ কুলকুচি করে ধুয়ে ফেলুন। এরকম পরপর বেশ কিছুদিন করলে দাঁত সাদা হবে।
৩) পায়ের তলার কড়া কমাতে কলার খোসা ব্যবহার করুন। অনেক সময় উঁচু-নিচু জায়গায় পা পড়ে গেলে বা অন্য রকম জুতো ব্যবহার করলে পায়ের তলায় শক্ত শক্ত কড়া পড়ে যায়। যা নিয়ে হাঁটাচলা করতে খুবই কষ্ট হয়। রাতে শোয়ার সময় একটি কলার খোসা ওই পায়ের কড়ার উপরে দিয়ে চারিদিকে সেলোটেপ দিয়ে আটকে একটি পায়ে মোজা পড়ে নিন। কিছুদিন এরকম করলে আরাম পাওয়া যাবে।
৪) মসৃণ ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার খোসা মুখে, হাতে, পায়ে পাঁচ মিনিট ধরে ভালো করে ঘষুন। খানিকক্ষণ পরে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
৫) স্ক্রাবার হিসাবে কলার খোসাকে ব্যবহার করতে পারেন। ঘাড়, কনুইয়ের কালো অংশে কলার খোসার ওপরে এক চামচ চিনি দিয়ে ৫ মিনিট ধরে ঘষে নিন। বেশ কিছুদিন এমন করলে কালো দাগ হালকা হয়ে যাবে।
৬) মশা কামড়ে ফুলে গেলে বা কোন পোকামাকড় কামড়ে লাল হয়ে গেলে, সেই স্থানে কলার খোসাকে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। সাময়িক আরাম পাওয়া যাবে।
৭) হাতে বা পায়ে বা শরীরের অন্য কোনো স্থান যদি কোনো সময় ফুলে যায় তাহলে সেই স্থানে কলার খোসা দিয়ে একটা পাতলা কাপড় দিয়ে ভালো করে জড়িয়ে রাখুন। সাময়িক আরাম পাওয়া যাবে।