Gold Facial: বাড়িতেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল, গরমেও ত্বক হবে উজ্জ্বল
বর্তমানে গোল্ডেন ফেসিয়ালের খুব চল রয়েছে। কিন্তু গোল্ডেন ফেসিয়ালের এক একটা ফেসপ্যাক কিটের অনেক দাম পড়ে যায় সাধারণের নাগালের হয়তো বাইরে। সত্যি সত্যি তাতে সোনা দেওয়া আছে কিনা বা তাতে কোনরকম কেমিক্যাল আছে কিনা, তা কিন্তু আমাদের কারোরই জানা নেই। দু একদিন নিয়ে এসে ফ্যাশন করার পরে হয়তো কিছুক্ষনের জন্য মুখটা বেশ চকচক করে সমস্যা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু স্থায়ী সমস্যা হয়ে যেতে পারে, তাই আর দেরি না করে বাড়িতে থাকা কয়েকটা উপকরণ দিয়ে চটজলদি বানিয়ে ফেলুন গোল্ডেন ফেসিয়াল।
গোল্ডেন ফেসিয়ালের উপকারিতা – এই ফেসিয়ালটি আপনি যদি নিয়মিত করেন, আপনার ত্বক দুধের মতন ফর্সা হয়ে যাবে, সোনার মতন চকমক করবে। এছাড়াও ত্বকের ওপরে থাকা নানান রকমের কালো দাগ সহজে দূর হয়ে যাবে সানট্যানের ফলে যে সমস্যা দেখা যায়। তা একেবারে দূর হয়ে যাবে, এছাড়া অকালবার্ধক্য দূর করবে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এই ফেসিয়ালটি নিয়মিত করেই দেখুন আপনি নিজেই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
ক্লিনজিং –
কাঁচা দুধের মধ্যে এক চিমটিই হলুদ দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি তুলে করে গোটা মুখে, গলায়, পিঠে পরিষ্কার করে নিন এইভাবে যদি ক্লিন করতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক প্রথম ধাপেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে।
স্ক্রাবিং –
এক টেবিল চামচ বেসন এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো পরিমাণ মতন, কাঁচা দুধ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখে, গলায়, পিঠে খুব ভালো করে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। তারপরে অন্তত ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
ফেসপ্যাক –
এক টেবিল চামচ দুধের সর এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো এবং তার সঙ্গে নিতে হবে পরিমাণ মতন বেসন গুঁড়ো। খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখে, গলায়, পিঠে লাগিয়ে অন্তত আধ ঘন্টার মতন রেখে দিতে হবে। তারপর শুকিয়ে গেলে একটু করে জল নিয়ে ভালো ঘষে ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টোনিং-
এক কাপ জলের মধ্যে এক টেবিল চামচ গ্রিন টিকে খুব ভালো করে ফুটিয়ে ছেঁকে দিন। এরপর এর মধ্যে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে দিয়ে দিন এক চিমটে হলুদ। এই মিশ্রণটি খুব উপযুক্ত টোনার হিসেবে আপনার মুখের উপর কাজ করবে।
ময়েশ্চারাইজিং-
একদম শেষের স্টেপটি হল ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য প্রয়োজন পরিমাণ মতন অ্যালোভেরা জেল, এক চিমটে হলুদের গুঁড়ো এবং একটি ভিটামিন ই ওয়েল ক্যাপসুল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন।
Disclaimer: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।