whatsapp channel

ময়ূরের পালকেই লুকিয়ে সমৃদ্ধির চাবিকাঠি, বাড়িতে এই বিশেষ কোণে রাখলেই হবে ধনবৃদ্ধি

জীবনে সুখ শান্তি আনার ক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্রের (Vastu) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিন দিন বাস্তুশাস্ত্রের উপরে মানুষের বিশ্বাসও বাড়ছে। বিভিন্ন ছোট ছোট এবং সহজ উপায়ে যদি জীবনে সুখ নেমে আসে তাহলে আর…

Avatar

Nirajana Nag

জীবনে সুখ শান্তি আনার ক্ষেত্রে বাস্তুশাস্ত্রের (Vastu) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিন দিন বাস্তুশাস্ত্রের উপরে মানুষের বিশ্বাসও বাড়ছে। বিভিন্ন ছোট ছোট এবং সহজ উপায়ে যদি জীবনে সুখ নেমে আসে তাহলে আর কী চাই? বাস্তুশাস্ত্রের মতে, বাড়িতে যদি ময়ূরের পালক (Peacock Feathers) রাখা যায় তবে জীবন ভরে উঠবে সুখ শান্তিতে। তবে এই পালক রাখার জন্য রয়েছে যথাযথ নিয়ম এবং কৌশল। সে সব নিয়ম মেনে যদি ময়ূরের পালক ঠিক ভাবে রাখা যায় তবেই ফলবে ফল।

অনেকের ঠাকুরঘরে রাখা চামরটি হয় ময়ূরের পালকের তৈরি। ঠাকুরঘরে চামর রাখার রীতি অবশ্য বু পুরনো। দীর্ঘদিন ধরে এই রীতি পালন করে আসছে মানুষ। তবে এমনি ময়ূরের পালক গুচ্ছও রাখতে পারেন বাড়িতে। এতে বাস্তুদোষ কেটে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বাড়িতে। কিন্তু কীভাবে আর কোথায় রাখবেন ময়ূরের পালক? সবিস্তারে বলা হল এই প্রতিবেদনে।

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়ির পূর্বদিকে কিংবা উত্তর পশ্চিমমুখী করে ময়ূরের পালক রাখা খুব শুভ। এতে আনন্দ এবং ধনসম্পদে ভরে ওঠে বাড়ি। বাস্ত বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, বাড়ির উত্তর পূর্ব দিকের কোনো দেওয়ালে ময়ূরের পালক রাখতে। গুনে গুনে ৮ টি ময়ূরের পালক নিয়ে সেগুলো একত্রে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন বাড়ির উত্তর পূর্ব দিকের দেওয়ালে। তবে এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে সেটা সবার চোখে পড়ে। এতে বাড়িতে শান্তি এবং মঙ্গলময় পরিবেশ থাকে।

ছেলেমেয়ের পড়াশোনায় মনোযোগ ফেরাতে তাদের পড়ার টেবিলে ময়ূরের পালক রাখতে পারেন। এতে দেখতেও সুন্দর লাগবে আবার পড়াশোনায় মনোযোগও বাড়বে বলে মত বাস্তু বিশেষজ্ঞদের। বৈঠকখানার পূর্বদিকেও রাখতে পারেন পালক। এতে বাড়ির উপর থেকে কুনজর দূর হয়। তবে সাবধান, ময়ূরের পালক কখনোই আলমারি বা সিন্দুকের মধ্যে আটকে রেখে দেবেন না। এতে কিন্তু সংসারে অনটনের ছায়া নেমে আসতে পারে। তবে ময়ূরের পালক কিন্তু কখনোই পাখিকে আঘাত করে সংগ্রহ করা উচিত নয়।

Avatar

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই