“দু-একজন ছাড়া কেউ খবর নেয় না”- লকডাউনে আফসোস রানু মন্ডলের
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রানাঘাট বেগোপাড়ার বাসিন্দা রানু মন্ডলের গান পৌঁছে গিয়েছিল ২৫ লক্ষ মানুষের কাছে। তার গান ভাইরাল হওয়ার পর রাতারাতি তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে গিয়েছিলেন।যার অধিকাংশ সময় কাটতো রানাঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তার গানের জাদুতে রাতারাতি স্টার প্লেব্যাক সিঙ্গার হয়ে উঠেছিলেন রানু। মুম্বাই তে হিমেশ রেশমিয়ার এর সঙ্গে গান এর পর তার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলার মতো ফুরসত মিলত না। বাড়িতে আসলেই ভিড় ক্যামেরার ঝলকানি উপছে পড়তো।
বর্তমানের কঠিন পরিস্থিতিতে এক সময়ের সেনসেশন রানু হারিয়ে যান। মাস দুয়েক আগে শোনা যায়, কোনও এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি নাকি কেরল গিয়েছিলেন। এরপর আবার খবরে আসেন তিনি। এপ্রিল মাসে, লকডাউন চলাকালীন এলাকার দুস্থদের রেশন বিলি করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু সেই শেষ। তারপর থেকে যেন উধাও হয়ে গিয়েছেন রানু মণ্ডল। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, লকডাউনে তাঁর নুন আনতে পান্তে ফুরোয় দশা। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জুটছে না। এক প্রকার অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁর। কচিৎ-কদাচিৎ জুটছে অন্ন। মাঝেমধ্যে তো মুড়ি খেয়ে দিন কাটছে। একটি সংবাদমাধ্যমকে রাণু মণ্ডল জানিয়েছেন, কেরল থেকে ফিরে টানা পাঁচদিন তাঁকে না খেয়ে কাটাতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ। এলাকার লোক সদয় হলে চাল-ডাল জোটে।
গত বছর অক্টোবর মাসে ও ডিসেম্বর মাসে কুয়েত ও আবুধাবী তে গানের অনুষ্ঠানে প্লেনে যাতযাত করতেন সেই রানু মন্ডল। লকডাউন ও করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি না পারছেন কোথাও যেতে না পারছেন অনুষ্ঠান করতে। তিনি বলেন, “অতীত ভুলতে নেই আর ভগবানের প্রতি ভরসা রাখতে হয় তিনি যা মনে করবেন তাই হবে। বেশ বুঝতে পারছি এখন আর কেউ দু একজন ছাড়া খোঁজ খবর কেউ নেয় না। তবে ভগবান আস্তে আস্তে সব ঠিক করে দেবেন।ভগবানই পারেন।”