প্রতিদিনের এই অভ্যাসে জমিয়ে ফেলবেন প্রচুর টাকা, রইল ১০ টি সেরা টিপস
যা রোজগার করছেন তার সবটাই খরচের খাতে ব্যয় হচ্ছে? কিছুই জমাতে পারছেন না। চিন্তা নেই, এই দশটি সহজ উপায় মেনে চলুন। দেখবেন মাসের শেষে অনেকটা টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
১) নিজের কাজ নিজে করুন:
আমরা অনেকেই রান্না করার জন্য ঘর মোছা বাসন মাজার জন্য লোক রাখি। কিন্তু নিজের কাজ যদি নিজে করা যায় তাহলে শরীর ভালো থাকে আর মাসের শেষে এত গুলো টাকা কাজের লোককে দিতে হয়না।
২) কম খরচে বেড়াতে যান:
বেড়াতে যেতে অনেকেই ভালোবাসেন কিন্তু বেড়াতে গিয়ে সব সময় যে বেশি দামী হোটেলে থাকতে হবে বা অতিরিক্ত ভালো হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে এমনটা না করলেও চলে। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোর জন্য যতটুকু টাকা প্রয়োজন ততটুকুই খরচ করুন।
৩) প্রতি মাসের শুরুতে নির্দিষ্ট প্ল্যান করুন:
মাসের শেষে টাকা জমলো না বলে হাহুতাশ না করে, প্রতি মাসের শুরুতে সেই মাসে কি কি খাতে খরচ করবেন তার একটা ছোট্ট করে প্ল্যান করে ফেলুন। তারপরে সেই প্ল্যান অনুযায়ী সেই খাতে টাকা ব্যয় করুন।
৪) ঘরের বাড়তি জিনিস বিক্রি করুন:
আমরা অনেক সময় শখে অনেক জিনিস কিনে থাকি, যেগুলো আদপেও আমাদের কাজে লাগে না। এমন জিনিস বাড়িতে না রেখে দিয়ে সেগুলো বিক্রি করে দিন। ঘরে কিছুটা জায়গাও পাবেন আর পকেটও ভর্তি থাকবে।
৫) বাইরে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করুন:
এমন অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিদিন বাইরে খাওয়া দাওয়া করেন। এগুলো একেবারে তাদের কাছে নেশার মতো হয়ে যায়। না পেলে বড্ড কষ্ট হয়। এতে শরীর খারাপ হয় একগাদা টাকাও নষ্ট হয়। বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যান। কয়েকদিন কষ্ট হলেও নিজেকে এইভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে ফেলুন যে আপনি বাইরের খাবার বেশি খাবেন না। তাতে শরীর ভালো থাকবে আর পকেটাও বাঁচবে।
৬) অফিসের ফাঁকে চা-কফি খাওয়া কমাতে হবে:
অনেকেই ভাবছেন চা-কফির আর কত দাম? কিন্তু সব সময় তো আর একা চা-কফি খাওয়া যায় না, অফিসের সমস্ত মানুষদের কে নিয়ে অফিসের নিচের দোকানটায় বেশ আড্ডা মেরে চা, কফি, সিগারেট খেয়ে মজার গল্প করে সময় কাটাতে অনেকেই চান। কিন্তু প্রতিদিন এমন চা, কফি, সিগারেট খেতে গিয়ে টাকা খরচ কত হয় তা একবার ভেবে দেখেছেন? এতবার করে চা কফি সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দিন। তাতে শরীর ভালো থাকবে আর পকেটটাও ভর্তি থাকবে।
৭) একটু একটু করে জিনিস কেনা বন্ধ করুন:
মাসের শুরুতে মাইনে পেয়ে সেই মাসের কি কি মাসকাবারি মাল একটা ফর্দ করে ফেলুন। একেবারে মাসের প্রথমে দোকানে গিয়ে বা কোন শপিং মলে গিয়ে ফর্দ ধরে জিনিস কিনুন। শপিং মলে কেনা কাটা করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় অনেক বাড়তি জিনিস কিনে ফেলি। সেগুলো থেকে নিজের চোখকে আটকাতে হবে। প্রতি মাসে প্রতিদিন খুচখুচ করে জিনিসপত্র কেনা কাটা বন্ধ করুন।
৮) খুব প্রয়োজন ছাড়া এটিএম কার্ড ব্যাগে রাখবেন না:
পার্সে একটা এটিএম কার্ড থাকা মানে যা ইচ্ছা তাই করতে পারার ইচ্ছাকে মনকে প্রশ্রয় দেওয়া। খুব প্রয়োজন ছাড়া এটিএম কার্ড ব্যবহার করবেন না। প্রতিদিন অফিস যাওয়ার জন্য হিসাব করে টাকা পয়সা নিয়ে বের হন। কার্ড থাকলে টাকা তুলতে ইচ্ছা করবে, কার্ড না থাকলে তেমন ইচ্ছা হবে ও না। পকেটে যতটুকু টাকা আছে ততটুকুতেই চালাতে হবে। এভাবেই নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে ফেলুন। দেখবেন মাসের শেষে অনেকগুলো টাকা বেঁচে গেছে।
৯) বিলাসিতা ভেবে করুন:
অন্যের ঘরের দামি দামি আসবাবপত্র দেখে অকারণে লোভ, লালসার বশবর্তী হয়ে কিছু কিনে ফেলবেন না। শরীর থেকে বিলাসিতা কে দূর করুন। আপনি যত সাধারণ থাকতে পারবেন তত আপনার শরীর ভালো থাকবে সাথে টাকা পয়সা বেঁচে যাবে।
১০) পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন:
সব সময় নিজের গাড়ি বা ওলা, উবের বুক করা বন্ধ করুন। আর পাঁচটা মানুষ যেভাবে ট্রেনে বাসে যায় মাঝে মধ্যে সেইভাবে যাওয়া অভ্যাস রাখুন। এতে শরীর ভালো থাকে, পাঁচটা মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হওয়াতে মনটাও ভালো থাকে। আর সাথে টাকা-পয়সা অনেকটা বাঁচে।