বন্ধুই কি বিশ্বাসঘাতক! চাঞ্চল্যকর তথ্যের খোঁজ মিলল সুশান্তের ডায়েরীতে
প্রতিদিন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী সুশান্ত লিখে রাখতেন ডায়েরিতে, এরকম চারটি ডায়েরি তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে
ক্রমশ জটিল হচ্ছে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য। তবে এবার রহস্য ভেদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিল সুশান্তের ডায়েরি। প্রতিদিন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী সুশান্ত লিখে রাখতেন ডায়েরিতে, এরকম চারটি ডায়েরি তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডায়েরি থেকে জানা গিয়েছে, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি অবধি সুশান্তের পি আর এবং ম্যানেজারকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় নাকি দু’টি সংস্থা শুরু করেছিলেন তিনি। দু’টিরই অংশ ছিলেন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রিয়া এবং তাঁর ভাই সৌভিক।
তার আগেও একটি সংস্থা শুরু করেছিলেন সুশান্ত যার খুঁটিনাটি ডায়েরিতে লেখা রয়েছে। এই সকল লিখিত বিবরণ এর ভিত্তিতে এবং তার প্রাক্তন অ্যাকাউন্টেন্ট শ্রুতি মোদির সঙ্গে কথা বলার পর রিপোর্ট তৈরি করেছে পুলিশ। ২০১৮ এর শুরুর দিকে কোম্পানি শুরু করেছিলেন সুশান্ত, সে সময় সুশান্তের সঙ্গে ছিলেন বরুণ মাথুর ও সৌরভ মিশ্র। এই তিনজনই ছিলেন কোম্পানির ডিরেক্টর।
এই পরই সুশান্তের জীবনে আসেন রিয়া। বদলে যেতে থাকে তাদের ব্যবসায়িক সমীকরণ। পুরনো সহযোগীদের বাদ দিয়ে নতুন করে আরও দুটি সংস্থা চালু করেন সুশান্ত অংশীদারিত্বে থাকেন রিয়া এবং তার ভাই। এরপর ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে আরো একটি কোম্পানি শুরু করা হয় যেখানে ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুশান্ত, রিয়া এবং তার ভাই সৌভিক। সুশান্তের সঞ্চয়ের প্রায় অনেকটাই বিনিয়োগ ছিল এই প্রজেক্টে কিন্তু রিয়া এবং তার ভাই আদৌ বিনিয়োগ করেছিলেন কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুশান্ত যে আর্থিক বিনিয়োগ করেছিলেন তা বোধহয় আর ফিরে পাওয়ার আশা করতে পারেননি, ফলে নিজের সঞ্চয় খুইয়ে ভরাডুবির শিকার হন তিনি। অবসাদ এবং হতাশা নিয়ে ডায়রিতে কিছু না লিখলেও সমস্ত বিবরণী সেই পরিস্থিতিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বর্তমানে সুশান্ত রহস্য মামলায় এই ডায়েরিই জলজ্যান্ত প্রমান। আত্মহত্যার পিছনে অন্য কারো হাত আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।