বাড়ির উঠোনেই রঙিন ভুট্টার চাষ করে তাক লাগালেন এই যুবক
বাগান করার শখ অনেকেরই থাকে। তবে মাঝেমধ্যে জায়গার অভাব এবং অর্থের টানাটানি আমাদের ইচ্ছায় বাধ সাধে। কিন্তু মনের ইচ্ছা থাকলে যে সব ইচ্ছাই পূরণ করা সম্ভব, কোনো বাধাই যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না তার প্রমাণ মিলেছে দিল্লির এই পরিবারটিকে দেখে। বাড়ির উঠোনে তৈরি করেছেন একটা ছোট্ট বাগান। এই বাগানের বিশেষত্ব হল এই বাগানে যা যা গাছ আছে তা সচরাচর দেখা যায় না। ভুট্টা খেতে কে না ভালোবাসে কিন্তু সাধারণত সেই ভুট্টা রং হলুদ হয়। ইনি বানিয়ে ফেলেছেন রংবেরঙের ভুট্টা। আবার এনার বাগানে চোখ ঘোরালে দেখা যাবে ঝাল ছাড়া লঙ্কার, ইটালিয়ান তুলসীর যার অসাধারণ গন্ধ রয়েছে, রয়েছে তরমুজ, যা ঋতুকালীন নয় এছাড়াও আরো কিছু।
এমনই উঠানে প্রায় ৩৫ রকমের উদ্ভিদ দিয়ে সাজিয়েছে দিল্লির ইন্দ্র এবং মালবিকা সিং। বাগানটি শুরু করার সময় তারা মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করেছিলেন। আর সবচেয়ে মজার কথা হল এই বাগানটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাদের কোন অর্থেরই প্রয়োজন হয় না। রান্নাঘরে যে বাড়তি জিনিস আমরা ফেলে দিই এরা তাই দিয়েই জৈব সার বানিয়েছেন। বৃষ্টির জলকে ধরে রেখে বাগানের জলের চাহিদা মেটাচ্ছেন। ইন্দ্র জানান, এই বাগান তৈরির স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য তিনি প্রায় ১,২০০ গ্রামে ঘোরাঘুরি করে বীজ জোগাড় করেছেন।
বিলুপ্তপ্রায় এক বিশেষ ধরনের পালং শাকের বীজ নিয়ে এসেছিলেন উত্তরাখন্ড থেকে। শুধু তা-ই নয়, সেখান থেকে নিয়েছিলেন প্রায় পাঁচ প্রজাতির তেঁতুল গাছ, তিন রকমের টমেটো গাছ। শুকনো গাছের পাতা, গোবর ইত্যাদি দিয়ে তিনি সার তৈরি করেন। তবে বাগানে শুধু গাছপালায় নয়, তিনি লক্ষ্য করলেন বাগানটি আস্তে আস্তে সুন্দর প্রজাপতি, পিঁপড়ে এবং স্বাস্থ্যকর মাইক্রোবদের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। রংবেরঙের ভুট্টা চাষ করার সময় ইন্দ্র জানান, মাটিতে প্রায় ১৫ ইঞ্চি গর্ত করে সেখানে বীজ গুলি পুঁতে দিতে হবে। সেই মাটির গোড়ায় তিনি সার হিসাবে ব্যবহার করেন শুকনো টমেটো গাছের পাতা। এত কষ্ট করে বাগান তৈরি করার ফলে এবার জেনে নেওয়া যাক তারই বাগান থেকে কি কি পাওয়া যায়। প্রতি বছর তার বাগান থেকে প্রায় ৩০ কিলো পালংশাক, ১৫ কিলো লঙ্কা, ৫ কিলো উপর ধনেপাতা, প্রায় ২৬ কিলো কুমড়ো পাওয়া গেছে। শুধু তাই না বাড়ির আশেপাশে এত গাছ থাকার জন্য বাড়িতে গরমে বেশ কমে গেছে।