বেশ কিছু দৃশ্যে সুশান্তকেও যেন ছাপিয়ে গেল কিজি বসুর অভিনয়
সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যুর পর শেষ অভিনীত ছবি ‘দিল বেচারা’ অপেক্ষার অবসান করে ২৪ শে জুলাই অর্থাৎ গতকাল রিলিজ করেছে হটস্টারে। ‘দিল বেচারা’ সিনেমাটি অনেকেই মনে করেছিল হয়তো অন্যান্য সিনেমার মতোই হবে। কিন্তু সুশান্তের জীবন কাহিনী এই ছবির সঙ্গে অদ্ভুত মিল পেয়েছেন দর্শকরা। তার উপস্থিতি আবার দর্শকদের মনে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ছবিটির প্রথম শুরুতেই কিছু কথার মাধ্যমে প্রত্যেক দর্শকদের মন পাল্টে গেছে। “এক থা রাজা, এক থি রানি। দোনো মর গ্যায়ে, খতম কাহানি, পর অ্যায়সি কাহানিয়া কিসিকো আচ্ছি নেহি লাগতি” অভিনেত্রী সঞ্জনা সঙ্ঘী তথা কিজি বসু।
কিজি বসু ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং মৃতপ্রায় জীবনে বাবা ও মাকে নিয়ে বেঁচে আছে। তারপরই তার দেখা হয় ইম্যানুয়েল রাজকুমার জুনিয়র এর সঙ্গে। তিনি কিজির জীবনে রঙিন আলো আনতে সাহায্য করেন। “আমিও অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখি, তবে সেগুলো পূরণ করতে ইচ্ছা করে না” এই কথা ও সুর শোনা গিয়েছে সুশান্ত তথা ম্যানির মুখে। এছাড়াও “আমিও একজন অ্যস্ট্রনট, আগামী সপ্তাহেই নাসা যাচ্ছি” এমনই এমনই কিছু কিছু ডায়লগ শুনে অনেকেই ঘাবড়ে যাচ্ছেন এটি ম্যানি নাকি সুশান্ত।
“জন্ম কবে, মৃত্যু কবে, তা আমরা ঠিক করতে পারি না, তবে কীভাবে বাঁচবে সেটা আমরা ঠিক করতে পারি” এই ডায়লগ সুশান্তের মুখেই শোনা গেছে। এই কথাকে মেনে কিজি ও ম্যানি তাদের ভালোবাসার গল্প এবং প্রতিটা মুহূর্ত কিভাবে বাঁচতে হয় তারা শিখিয়েছে দর্শকদের। এছাড়াও তাদের জীবনে মৃত্যুর দরজায় কড়া নাড়ছে কিন্তু তারা প্রতিটা মুহূর্ত বাঁচার জন্য মৃত্যু পরোয়া করছে না। এছাড়াও তার মুখে শোনা গেছে, যতদিন বেঁচে আছে রাজার মৃত্যু হল সেই গল্প ও রাজা বেঁচে থাকবে, এই ডায়লগ এর মাধ্যমে সুশান্তের মৃত্যুর পরও তার বেঁচে থাকার অদ্ভুতভাবে মিল পাওয়া যায়।
এছাড়াও, কিজির মা তথা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও বাবা তথা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় দর্শকের মনেও বরাবরের মতো দাগ কেটেছে। তার মেয়ের প্রতি যত্নশীল, মধ্যবিত্ত ও মা বাবার মতোই তাদের আচরণ। শেষে চমকের জন্য সাইফ আলী খানকে এই সিনেমায় দেখা গেছে। এ আর রহমানের মিউজিক প্রত্যেকের মন জয় করেছেন।
এই সিনেমা দেখার পর বহু দর্শকের মনে প্রশ্ন তার এই ডায়লগ এর মধ্যেই তার মনের সব কথা লুকিয়ে আছে কিন্তু এই প্রাণবন্ত ছেলেটি কিভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন কারোরই জানা নেই। এছাড়া এই সিনেমার প্রতিটা ডায়লগ বর্তমানে মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে।