Hoop News

ভারতের এই দুই নদীতে আজও সোনা‌ পাওয়া যায়

নদীর জলেই বয়ে চলেছে অসংখ্য খাঁটি সোনার রেনু। চিনের স্বর্ণরেনু নদীর কথা মনে পড়ে? সেই নদীতেও অবিরাম বয়ে চলে তাল তাল সোনা। ভারতের বুকেও এমন অদ্ভুত নদী বর্তমান। নদীর সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্ক খুবই গভীর। আমাদের দেশে গঙ্গাকে মা হিসেবে পুজো করা হয়। সুজলা সুফলা এই ভারত বিশেষত নদীমাতৃক দেশ। কৃষি কাজের সিংহভাগ নির্ভর করে নদী গুলির উপর। পানীয় জল,বিদ্যুৎ উৎপাদন, কলকারখানা, নগর গড়ে ওঠা সবগুলোই নদীর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিশ্বে এমন কিছু নদী আছে যেখান থেকে সোনা পাওয়া যায়। চমকে ওঠার মতো কথা হলেও এটি সম্পূর্ণ সত্যি। আরো চমকে যাবেন এটি শুনে যে এর মধ্যে রয়েছে এদেশের নদী ও। সেই রকমই কিছু সোনার নদীর কথা আজ আমরা জানতে পারব।

১) সুবর্ণরেখা নদী: নদীটির নাম এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সোনা। সুবর্ণ কথাটির অর্থ হল সোনা। এই নদীর জলের তলায় অনেক সোনা বয়ে চলেছে, এমনটাই কথিত রয়েছে পুরানে। সুবর্ণরেখা নদীর উৎপত্তিস্থল রাঁচির পিসকা গ্রাম থেকে। শোনা যায় একসময় এই পিসকা গ্রামে সোনার খনি ছিল। সেই থেকেই এই নদীটির নামকরণ হয় সুবর্ণরেখা।বন্যার সময় যখন নদীর জল তীরে উঠে আসত তখন নদীর জলের সঙ্গে মিশে যেত সোনা। এবং যখন জল তীর থেকে নেমে যেত তখন জলের সঙ্গে বহু সোনাও চলে যেত নদীগর্ভে। আজ ও দেখা যায় স্থানীয় মানুষের বালি থেকে সোনা খুঁজছেন।

২) খারকাই নদী: সুবর্ণরেখার উপনদীর নাম খার্কাই।জামশেদপুরের আদিত্যপুর এর উপর দিয়ে বয়ে গেছে এই নদী। নাতিদীর্ঘ এই নদীটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। এই নদীতে ও নাকি সোনা পাওয়া যায়। সুবর্ণরেখা নদীর সাথে যোগসূত্রের কারণেই এই খরকাই তেও সোনা ভেসে আসে। যখন সুবর্ণরেখা সোনা মিশে যায় তখন উপনদী হওয়ার কারণে এই নদীর মধ্যেও একই সঙ্গে মিশে যায় সোনা। এখানেও স্থানীয় মানুষদের সোনার সন্ধান করতে দেখা যায়। তাদের মতে সারাদিন খোঁজার পর চালের থেকেও ছোট আকারের সোনার টুকরো পাওয়া যায়।

Related Articles