মনে সাহস নিয়ে নিজেই তাঁবু খাটিয়ে পড়াশোনা করছে এক কন্যা, কুর্নিশ বালিকাকে
মনের জোর আর ইচ্ছাকে পাথেয় করেই যে নিজের লক্ষ্য পূরণ করা যায় তার একমাত্র প্রমাণ এই কন্যা। মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদূর্গ অঞ্চলের একটি কলেজের ছাত্রী স্বপালী গোপীনাথ সুথার। করোনা আবহে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। পড়াশোনা এখন অনেকটাই অনলাইন ক্লাস নির্ভর হয়ে পড়েছে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই অর্থাৎ প্রত্যন্ত গ্রামে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায় না, সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে অনলাইন ক্লাস করা সত্যিই খুব অসুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে এই মেয়েটির সঙ্গেও। সে যে গ্রামে বসবাস করে সেই গ্রামে কোনো রকম ইন্টারনেট এর ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ইন্টারনেট না থাকলে কি করে অনলাইন ক্লাস করবেন? তাহলে কি মাঝপথে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে?
না, পড়াশোনা বন্ধ হোক এমনটা সে চায়নি। তাইতো মনের ইচ্ছা থাকলে যে সব কিছুই করা সম্ভব তা করে দেখিয়েছেন নেই কন্যা। সমস্ত বাঁধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে তিনি তাঁর স্বপ্ন পূরণ করেছেন। গ্রাম থেকে বেরিয়ে এসে সামান্য উঁচু জায়গাতে তিনি নিজের জন্য একটি তাঁবু তৈরি করেছেন। সেখানেই তিনি তার ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট পান। সেইখানে তিনি সকাল সাতটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
তার এই অসাধারণ ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন আই.আর.এস অফিসার দেব প্রকাশ মিনা। এইসব কন্যা ভারতের অনেক মেয়েদের আদর্শ হতে পারেন। বাঁধা-বিপত্তি কাটিয়ে কিভাবে নিজের মনের জোরকে সম্বল করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়, তার একমাত্র উদাহরণ এই কন্যা। মাথার উপর শুধু প্লাস্টিকের একটু ছাউনি ব্যাস, এইটুকু জায়গাতেই তিনি খাতা, বই এবং মোবাইল ফোন নিয়ে বসে তার পড়াশোনা করছেন। সত্যি তার এই চেষ্টাকে কুর্নিশ চালাতে হয়।