মানুষেরা ঢিল ছুঁড়ে ভেঙে দিয়েছে ডিম, সন্তান হারানোর দুঃখে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল মা হাঁস!
সন্তান, জীবনসঙ্গী কেউই বেঁচে নেই, হতাশায় মৃত্যু হল এক হাঁসের
কথাতে আছে, “কুসন্তান যদিওবা হয়, কুমাতা কখনও নয়”, এমন কথা শুধুমাত্র মনুষ্যজাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। পশুপাখিরাও তাদের সন্তানদের ভালোবাসা, মায়া, মমতা দিয়ে জন্ম দেয়, লালন-পালন করে। তাদের মৃত্যুতে মানুষ মায়ের মত মা পশু পাখিদের ও কষ্ট হয়। তারা কান্নাকাটিও করে। এমন দৃষ্টান্তও বহুবার চোখের সামনেও দেখা যায়। কিন্তু সন্তানের মৃত্যুর কিছুদিন পরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মা ইতিহাসকেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। তবে কি পশুপাখিদের হতাশা হয়? এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। কিন্তু যে ঘটনাটি ঘটেছে সেই ঘটনাটি কিন্তু এ প্রশ্নের একটি সদর্থক উত্তর দেয়।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে কিয়ার্স্লের ম্যানচেস্টার ক্যানেলে। হাঁসটি মোট ছটি ডিম পেরেছিল। একজন কিশোর-কিশোরী বেড়াতে গিয়ে ঢিল ছুঁড়ে তিনটি ডিম ভেঙে ফেলেছে। পুরুষ সঙ্গীটি তাকে অনেকদিন আগেই ছেড়ে চলে গেছে। আর ফিরে আসেনি। তারপরে হাঁসটি তার বাসায় যত্ন করে আবারো তিনটি ডিম পেড়েছিল। এরমধ্যে দুটি ডিম নষ্ট হয়ে যায়, বেঁচে ছিল ওই একটি ডিম। পরে সেই ডিমটিও নষ্ট হয়ে যায়।
পৃথিবীতে একাকী বাঁচতে কেউই চায় না। গোটা জীবন বাঁচাতে গেলে প্রয়োজন জীবন সঙ্গী কিংবা সন্তানের। এই হাঁসটির কেউই বেঁচে নেই। সেই দুঃখে হাঁসটি মারা গেছে। সন্তান শোকেই মা প্রাণ হারালো। সন্তান এমনই জিনিস, সে মারা গেলে মা কি আর থাকতে পারে! এ সমস্ত কিছু আমরা মানুষ প্রজাতির ক্ষেত্রেই বেশি দেখতে পাই। জীবজন্তুরা কান্নাকাটি করে কষ্ট পায় কিন্তু এইভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে না। কিন্তু এই হাঁস এতটাই দুঃখ পেয়েছে যে সে নিজের জীবন আর বাঁচিয়ে রাখতে চাইলো না।