Hoop Story

মৃ’ত্যুর খবর আগে থেকেই জানতে পারে যে’সব প্রা’ণী

মৃ’ত্যু মানেই জীবনের পরিসমাপ্তি। এই পৃথিবীতে যার সৃষ্টি রয়েছে অনুরূপে তার ধ্বংসও বর্তমান। প্রাণী মাত্রই ম’রণশীল। কখন কার মৃ’ত্যু হবে তার কথা কেউ জানে না। তবে বলা হয়, মৃ’ত্যুর অগ্রিম খবর মানুষের আগে নাকি জীবজন্তুরা পায়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের বহু সংস্কারে এই ব্যাপারে বহু বিচিত্র তথ্য সন্নিবিষ্ট রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য তুলে ধরেছেন প্যারানর্মালবাদীরা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোন কোন প্রা’ণী কিভাবে মৃ’ত্যুর আগাম খবর জানায়
১. একটি প্রাচীন প্রবাদে জানানো হয়েছিল, পেঁচা গান গাইলে জানতে হবে, কারোর মৃ’ত্যু আসন্ন। পেঁচার একটি বিশেষ ডাককেই এখানে ‘গান’ বলা হয়েছে। ক্যাথলিক সন্ন্যাসীরা পেঁচাকে দীর্ঘকাল ধরে ‘ডেভিলের অ্যাসোসিয়েট’ বলে বর্ণনা করে এসেছেন।
২. কালো প্রজা’পতি স’ম্পর্কেও একই রকমের ধারণা রয়েছে। আসলে এটি এক প্রকার মথ। রাতচরা এই কালো পতঙ্গকে অনেকেই অশুভ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করেন। কালো পতঙ্গের অনুষঙ্গে মৃ’ত্যুকে দেখেছেন, এমন কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে ইউরোপের অনেক দেশের সাহিত্যেই। এমনকি আমাদের দেশে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিস্ম’রণীয় ছোটগল্প ‘ম’রণ ভোম’রা’-য় একটি কালো ভ্রম’র ছিল অনিবার্য মৃ’ত্যুর অগ্রদূত।
৩. বাদুড়কে দক্ষিণ আ’মেরিকার মায়া ও আজটেক সভ্যতায় মৃ’ত্যুর অগ্রদূত বলে মনে করা হতো। বাদুড় খুবই র’হস্যময় প্রা’ণী। ইউরোপের সংস্কৃতিতে তার স্থান পরলোক আর ইহলোকের মাঝামাঝি একটা ধূসর এলাকায়। বাদুড় নিয়ে আমাদের দেশেও মৃ’ত্যু-সংক্রান্ত সংস্কার কম নেই।
৪. ইউরোপে বাড়ির আশেপাশে সাদা পেঁচার উড়ানকে অনেকেই মৃ’ত্যুর পূর্বাভাস বলে মনে করেন। এই ভাবনার পিছনে কাজ করছে উইচক্রাফ্‌ট নিয়ে ইউরোপীয়দের দীর্ধকালীন সংস্কার। সাদা পেঁচা উইচদের অ্যাসোসিয়েট হিসেবে প্রসিদ্ধ। আর উইচদের স’ম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সেখানে দীর্ঘকালীন। তবে এই ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জে কে রাওলিং। হ্যারি পটারের অ্যাসোসিয়েট হেডইউগ একটি সাদা পেঁচা। আর সে কখনওই ‘অশুভ’ নয়।
৫. কালো ঘোড়াকেও মৃ’ত্যুর অগ্রদূত মনে করে ইউরোপ। কোনো শুভযাত্রায় কেউ যদি কোনো কালো ঘোড়াকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেন, তার ঘাড়ে মৃ’ত্যু নিঃশ্বা’স ফেলছে বলে ধরতে হবে।

Related Articles