যে বিশেষ কাজটি করলে মা বিপত্তারিনী সন্তুষ্ট হন, সংসারে ফিরে আসে সুখ-শান্তি
সংকটমোচন এ করুন বিপত্তারিণী পুজো, জেনেনিন নিয়ম কানুন
বিপত্তারিণী হলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং ওড়িশায় পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পূজিত এক হিন্দু দেবী। দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের অন্যতম এক দেবী হলেন এই বিপত্তারিণী দেবী । মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যই এই দেবী পূজিতা হন। আষাঢ় মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে এই বিপত্তারিণী ব্রত পালন করা হয়। বিপত্তারিণী দেবী পুরাণে কৌশিকী দেবী নামে খ্যাত। তিনি জয়দুর্গা নামেও পরিচিতা।
এই দেবীর উৎপত্তি হয়েছিল ভগবান শিবের অর্ধাঙ্গিনী দেবী পার্বতীর কষিকা থেকে তাই তিনি কৌষিকী। এই নিয়ে পুরাণে একটি গল্প রয়েছে। শম্ভু ও নিশুম্ভ এই দুই অসুরের হাতে দেবতারা পরাজিত হয়ে হিমালয় একদিন মা মহামায়ার স্তব করছিলেন। সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে তার মতনই আরেকজন দেবী বের হয়ে আসেন। এই জয় দূর্গা বা কৌশিকী দেবী হলেন বিপত্তারিণী দুর্গা।
দেবীর অনেক রূপ। উত্তর ভারতে অষ্টাদশ রূপে পূজা করা হয়, কোথাও পূজা করা হয় দশভূজা রূপের। জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় মাসের মঙ্গল শনিবারে মায়ের পুজো হয়। যে বিশেষ উপায়ে বিপত্তারিণী দেবীর পুজো করলে সুফল মিলবে সেগুলি একে একে জেনে নিন। এখানে ১৩ প্রকারের ফল, ফুল, মিষ্টি, পান, সুপারি অর্পণ করা হয়। ঘট, আমের পল্লব শিষ সমেত একটি নৈবেদ্য, ১৩ রকমের ফুল, ১৩ রকমের ফল ইত্যাদি রাখা হয়। পুজো শেষে মন দিয়ে দেবীর ব্রত কথা শুনতে হয়। লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট বেঁধে ১৩ টি দূর্বা বাঁধতে হয়। তারপর সেই সুতোগুলি রক্ষাকবচ হিসেবে পরিবারের সদস্যদের হাতে বেঁধে দিতে হবে। এই ভাবেই সাধারণ মানুষ দেবীর কৃপা লাভ করেন এবং সংসারে দুঃখ ঘুচে গিয়ে ফিরে আসে সুখ শান্তি।