সম্পর্কে ধরেছিল ফাটল, সরোজ খানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ বছর কাজ করেননি মাধুরী!
একসঙ্গে চুটিয়ে বহু সুপারহিট নাচ দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এই জুটি
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রথমে মনে পড়ে তার অসাধারণ নৃত্যশৈলীর কথা। সেই নাচ মাধুরীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে যিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন সরোজ খান, আজ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে তিনি চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। একসময় মাধুরীর নাচ মানেই ছিল সরোজের কোরিওগ্রাফি। একসঙ্গে চুটিয়ে বহু সুপারহিট নাচ দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এই জুটি। কিন্তু বাস্তবে একসময় দুজনের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল এবং সেই ফাটল ছিল এতটাই গভীর যে একসঙ্গে প্রায় ১৮ বছর কাজ করেননি সরোজ-মাধুরী। আজ সরোজের প্রয়াণ দিবসে জেনে নেওয়া যাক এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ।
সরোজের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাধুরী যখন ‘এক দো তিন’ কিংবা ‘ধক ধক করনে লাগা’ গানে নেচে ব্যাক-টু-ব্যাক হিট দিচ্ছেন ঠিক সেই সময়ই দুজনের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। সরোজ জানতেন মাধুরী দারুন নাচতে জানে এবং সেই শৈলীর তিনি সৎ ব্যবহার করেছিলেন কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে। মাধুরীর জন্য সরোজের সঙ্গে আবার শ্রীদেবীর ঝামেলা বেধে যায়। শ্রী মনে করেন সরোজ তার জন্য নয় বরং মাধুরীর জন্যই ভালো ভালো স্টেপ ব্যবহার করেন। যদিও পরে সেই ভুল ধারণা কেটে যায় এবং উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই মাধুরীর সঙ্গে সরোজের দূরত্ব তৈরি হয়।
‘দেবদাস’ সিনেমায় সরোজের কোরিওগ্রাফিতে মাধুরী নাচলেও এরপর বলিউড থেকে নিজেকে খানিক গুটিয়ে নেন এই অভিনেত্রী। ফের তিনি বলিউডে ফেরেন ‘আজা নাচ লে’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে সরোজের বদলে বৈভবী মার্চেন্টের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাধুরী এই ঘটনায় খুবই দুঃখ পান সরোজ খান। এরপর দীর্ঘ ১৮ বছর একসঙ্গে কাজ করেননি এই জুটি। আবার তাদের দেখা হয় ‘কলঙ্ক’ সিনেমার সেটে। সরোজের নৃত্য নির্দেশনায় ‘তাবাহ হো গায়ে’ গানে তাল মেলান মাধুরী। বরাবরই সরোজ খানকে শ্রদ্ধা করে এসেছেন অভিনেত্রী। তার জনপ্রিয়তার পিছনে সরোজের অবদান তিনি অস্বীকার করেননি, তাইতো সরোজের মৃত্যুতে মাধুরী লিখলেন, “আমি বিধ্বস্ত। চিরকাল তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ থাকব।”