Lifestyle: বাড়িতে কখনোই রাখবেন না এই পাঁচটি গাছ, অর্থনৈতিক সংকট গ্রাস করবে
আমরা গাছ দিয়ে বাড়ি সাজাতে প্রত্যেকেই ভালোবাসি। কিন্তু যদি বাস্তু মেনে বাস্তুর দিক না মেনে আপনি বাগান তৈরি করেন তাহলে হতে পারে মহাবিপদ। গাছ কেনার সময় মাথায় রাখতে হবে কোন কোন গাছগুলি আমাদের গৃহের জন্য উপযুক্ত। সেই গাছগুলি ছাড়া অন্য কোন গাছ কিন্তু আমরা কখনোই লাগাতে পারি না। বাগানের জন্য উপযুক্ত গাছ হল নিম, কলা এবং আম গাছ। তবে সেই বড় বড় গাছগুলি কখনোই পূর্ব দিকে লাগাবেন না। পূর্ব দিকের সকালের রোদ আসে সেক্ষেত্রে সকালের রোদ যদি আপনার গৃহে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তা কিন্তু আপনার গৃহের জন্য মোটেই ভালো হবে না। তাই আর দেরি না আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন আমরা কিভাবে বাস্তু মেনে গাছ লাগাব।
১) কোন রকম কাঁটা জাতীয় গাছ লাগানো যাবে না, কাঁটা জাতীয় গাছ আপনার উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। কাঁটা জাতীয় গাছ। এখন অনেকেই কিনে এনে বাড়িতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট হিসাবে রাখেন, এটি কিন্তু একেবারেই করা উচিত নয়। কাঁটা জাতীয় গাছ আপনার কোনদিন উন্নতি হতে দেবে না এমন তাই বলছেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা।
২) বাড়িতে কোনো ভাবে বনসাই জাতীয় গাছ রাখা যাবে না। এই গাছ কিন্তু আপনার গৃহের জন্য অত্যন্ত অনুপযুক্ত একটি গাছ। বনসাই হল বড় গাছকে ছোট করে রাখা হয়, তাহলে গাছ কখনো দিনে উঁচু লম্বা হতে পারবেনা, এর সঙ্গে আপনার ভাগ্যও নির্ধারিত আছে, সব সময় আপনি উন্নতির শিখরে উঠতে পারবেন না, উন্নতিতে বাধা প্রাপ্ত হতে পারেন।
৩) কোনো ভাবেই ঘর সাজানোর জন্য কোনো প্লাস্টিকের গাছ বা আর্টিফিশিয়াল কোনো গাছ ব্যবহার করা উচিত নয়, নার্সারি থেকে গিয়ে সব সময় জীবন্ত গাছ তুলে আনবেন, এর মধ্যে এই যে জীবনী শক্তি থাকে, প্লাস্টিকের কোনো গাছের মধ্যেই তা থাকে না।
৪) বাড়ির আশেপাশে কখনোই বট বা অশ্বত্থ গাছ লাগাবেন না। বট, অশ্বত্থ গাছ প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন সাপ্লাই করে ঠিক কথা। কিন্তু এই গাছ কোন ফাঁকা প্রান্তরে বা মন্দির প্রাঙ্গণের সামনে লাগানোই ভালো কারণ এই গাছ থেকে বীজ করে আপনার বাড়িতেও কিন্তু গাছের জন্ম হতে পারে। সেক্ষেত্রে এর অতিরিক্ত শিকড় আপনার ঘরকে ভেঙে ফেলতে পারে, তাই কোনরকম ভাবে যাতে কোনরকম ক্ষতি না হয়, তাই বট বা অশ্বত্থের গাছ ঘরের আশেপাশে লাগাবেন না।
৫) কখনোই মরে যাওয়া গাছ রেখে দেবেন না। খেয়াল করবেন, বাগান পরিচর্যার সময় যদি দেখেন কোন গাছ শুকিয়ে গেছে, মরে গেছে তাহলে তার তৎক্ষণাৎ তুলে ফেলে দেন।
Disclaimer: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।