Lifestyle: ৫ সহজ টোটকাতেই খুশকি দূর করুন, জেনে নিন পদ্ধতি
শীতকাল মানে মাথা ভর্তি সাদা সাদা খুশকি। খুশকি নিয়ে নানান রকম সমস্যায় আমরা জেরবার হয়ে যাই। সমস্যা থেকে যদি মুক্তি পেতে চান, তাহলে আপনাকে বাজার চলতি কোন রকম নামিদামি ক্রিম কিনতে হবে না, কয়েকটা জিনিস যা আপনার বাড়িতেই থাকে ব্যবহার করলেই দেখবেন আপনার চুল হয়ে যাবে, ভীষণ সুন্দর, নরম এবং ঘন বিশেষত, শীতকালে যে খুশকির সমস্যা থাকে, এই হোম রেমেডিগুলো ব্যবহার করে একবার দেখবেন চুল একেবারে সুন্দর ও সিল্কি হয়ে যাবে। দেরি না করে Hoophaap এর পাতায় জলদি দেখে ফেলুন কিভাবে আপনি আপনার চুলকে সুন্দর করবেন।
১) পাতিলেবুর রস, অ্যালোভেরা, মধু – অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে পাতিলেবুর রস, মধুকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে, এরপর এই মিশ্রণটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। গোটা শীতকাল, এটি যদি আপনি সপ্তাহে অন্তত দুদিন করতে পারেন, তাহলে দেখবেন, আপনার চুলে খুশকির সমস্যা অনেকখানি দূর হয়েছে।
২) পাতিলেবুর রস, মধু – পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিতে পারেন, সপ্তাহে একদিন এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন, এতেও কিন্তু খুশকি অনেক তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারে।
৩) পাতিলেবুর রস, টক দই, হেনা পাউডার – সপ্তাহে একদিন টক দইয়ের সঙ্গে পাতিলেবুর রস, হেনা পাউডার খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আপনি যদি মাথায় বা স্কাল্পে খুব ভালো করে লাগিয়ে নিতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার চুল ভীষণ সুন্দর হবে।
৪) পাতিলেবুর রস, ধনেপাতার রস, কারিপাতার রস – পাতিলেবুর রসের সঙ্গে ধনেপাতার রস, কারিপাতার রসকে খুব ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে, শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে ধনেপাতা পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ধনেপাতার রসের সঙ্গে যদি পাতিলেবুর রসকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আপনি যদি আপনার চুলে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন, আপনার চুলে খুশকির সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫) পাতিলেবুর রস, কারিপাতা, অ্যালোভেরা জেল- আমরা জানি, কারিপাতা আমাদের চুলের জন্য কতখানি উপকারী। যাদের খুশকির সমস্যায় ভুগছেন, তারা গোটা শীতকাল জুড়ে কারিপাতার সঙ্গে পাতিলেবুর রসকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করে, এটি যদি সপ্তাহে অন্তত তিনদিন করতে পারেন একমাস পরই আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, তফাৎটা আপনার চুল কত সুন্দর, সিল্কি হয়ে গেছে এবং খুশকি থেকে অনেকটা মুক্ত পাবেন।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।