Hoop StoryHoop Viral

পেটের দায়ে বিক্রি করতে হত চানা মশলা, লকডাউনে ক্ষতির মুখে রেলস্টেশনের বিক্রেতারা

গত বছর থেকেই করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরের সাথে সাথে জীবন ও জীবিকার মধ্যেও যথেষ্ট হস্তক্ষেপ করেছে। করোনাভাইরাস এর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেকের লকডাউনের কড়াকড়ি মেনে নিতে হয়েছে। আর বারংবার রেল স্টেশনে থাকা বিক্রেতারা এবং ট্রেনের মধ্যে হকারি করা মানুষদের পেটে লাথি মেরেছে করোনা। এক দিকে বেঁচে থাকার লড়াই তো অন্যদিকে না খেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই। শিয়ালদা থেকে সাউথের দিকে যেতে গেলে এই আপনার চোখে পড়বে ১২- ১৩ বছরের একটি ছোট্ট শিশু যে মাস্ক বিক্রি করছে। তবে মাস্ক বিক্রি করার পাশাপাশি তাকে মাঝেমধ্যে চানা মশলা বিক্রি করতেও দেখবেন।

বর্তমানে রেল স্টেশন একেবারে ফাঁকা, তাই হাতে গোনা খদ্দেরেরও দেখা মেলেনা। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন এই শিশুটির সংসার চলবে কি করে। কিন্তু করোনা আবহে ট্রেন চালানো খুব সমস্যা হবে, তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত। ট্রেন চলাকালীন সময়েও কি আমরা সত্যিই এদের দিকে ফিরে তাকাই? বোধহয় তাকাই। যে বয়সে পড়াশোনা করে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে পেটের দায়ে রোজগার করতে হচ্ছে শিশুটিকে। কিছু কংক্রিটের বাড়িতে থাকতে থাকতে আমরা কি কখনো এই সমস্ত মানুষের দিকে একবার তাকিয়ে দেখেছি তা ভেবেছি?

শিশুটির নাম মহম্মদ নুর। বয়স ১২ কি ১৩। এই বয়সেই জীবনকে কতটা কাছ থেকে দেখেছে শিশুটি। দুটো পয়সা রোজগার করে টাকা তুলে দিচ্ছে সংসারের হাতে। জীবন তাকে নিয়ে এসেছে এক চরম বাস্তবের দিকে। লকডাউনের পরেও কি এদের অসহায় অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে? এই প্রশ্ন সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।