হাঁটাচলার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে পোলিও, প্রতিবন্ধী বন্ধুকে শিক্ষার আলো দেখাচ্ছে একদল পড়ুয়া
জন্ম হয়েছিল আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতই। কিন্তু এক বছর পর থেকে বোঝা গেল এই ছেলেটি কোন দিন হাঁটতে পারবে না। সে পোলিওয়ে আক্রান্ত। তবে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়নি। স্কুলেও যায় আর পাঁচটা ছেলের মতনই। কিন্তু এইরকম শরীর নিয়ে সে কিভাবে তার পড়াশোনা কি চালু রেখেছে? এই প্রশ্নের উত্তরেই উঠে আসছে, তার জীবনে বন্ধুদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ব্যাঙ্গালোরের ইস্টওয়েস্ট পাবলিক স্কুলের একদল ছাত্র তারাই কোলে করে এই পোলিও আক্রান্ত ছেলেটিকে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যায়। তারা এটি প্রতিদিন খুব নিয়ম নিষ্ঠাভরে করে থাকে। এর থেকেই বোঝা যায়, তারা তাদের বন্ধুকে সত্যিই খুব ভালোবাসে। তাদেরকে যখন প্রশ্ন করা হয় তাদেরকে কাজটি করতে খুব অসুবিধা হয়? এর উত্তরে তার পাশে থাকা বন্ধুরা একত্রে গর্জে উঠে বলে ‘একদমই না। কারণ তারা অনেকে আছে। সবাই মিলে লাক্সমিশকে কোলে করে নিয়ে আসে। এতে তাদের কোনো অসুবিধাই হয়না। তার বন্ধুরা জানান, লাক্সমিশকে তারা কখনই কোন প্রতিবন্ধী মানুষ হিসাবে ভাবেননা। তাদের সমস্ত কাজে লাক্সমিশকে তারা পাশে পান একজন প্রকৃত বন্ধু হিসাবে।
স্কুলের ছাত্ররা প্রমাণ করে দিয়েছে তারাই প্রকৃত বন্ধু। দুঃখের সময় বা অসময়ে যারা পাশে থাকে তারাই আসল বন্ধু। এত টুকু টুকু বাচ্চা ছেলেরা সত্যি সমাজের কাছে আদর্শ হতে পারে। নিজেদের পোলিও আক্রান্ত বন্ধুর জন্য তারা প্রতিদিন তাকে কোলে করে নিয়ে যাতায়াত করে। সত্যিই তাদেরকে স্যালুট জানাতে হয়।