বর্তমানে বাংলায় উদীয়মান রাজনীতিবিদদের তালিকায় সবথেকে উপরে যার নাম দেখা যায়, তিনি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সম্পর্কে শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র তিনি। কিন্তু ক্ষমতায়, রাজ্যের শাসক দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। মিছিল থেকে জনসভা, নির্বাচনী প্রচার, দলের নানা দায়িত্ব, সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন সহ অনেক কাজই তাকে সামলাতে হয় দিন প্রতিদিন। কিন্তু এই সবটাই তো তার বাইরের রূপ। ভেতরে ভেতরে মানুষ হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কেমন? কেমন ছিল তার প্রেম জীবন? ব্যক্তিগত সময়ে কিভাবে সময় কাটান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব? এবার মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে বাস্তব জীবনের বেশ কিছু কথা বললেন তিনি।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অকপট হতে দেখা যায় তাকে। বাহ্যিক ব্যস্ততম জীবনের বাইরেও যে নিজেকে সময় দিতে ভোলেন না তিনি, তা একবাক্যে শিকার করেছেন তিনি। এছাড়াও নিজের পছন্দ ও অপছন্দ নিয়েও অনেক কথা এই সাক্ষাৎকারে বলে ফেলেন অভিষেক বাবু। ব্যক্তিগত জীবনে যে তিনি কতটা স্বাস্থ্য সচেতন, সেই বিষয়ে হলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করে থাকি। কিন্তু, আজকাল কাজের চাপে সব সময় ওয়ার্কআউট করা হয়ে ওঠে না।” এছাড়াও নিজের পছন্দের ছবি হিসেবে তিনি ‘পাঠান’-এর নাম নেন এবং বর্তমানে তার প্রিয় গান হিসেবে ‘বেশরম রং’ গানকে বেছে নেন।
তবে এসব ছাড়াও হ্যান্ডসাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে লক্ষাধিক মহিলা অনুরাগী। তার তার উপর এখনো ‘ক্রাশ’ খেয়েও থাকেন অনেকে। কিন্তু কতজনের থেকে তিনি প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন, এই প্রশ্ন শুনেই কিছুটা মুচকি হাসি হেসে তিনি জবাব দেন এবং বলেন, “আমি জানি সোশাল মিডিয়ায় অগুন্তি মানুষ আমায় মেসেজ করেন। কিন্তু, কাজের ব্যস্ততায় আমি তাঁদের কাউকেই জবাব দিতে পারি না। এর জন্য আমি সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছি।” এছাড়াও প্রেম প্রসঙ্গে তার মত, “আমি কখনও কাউকে গিয়ে নিজে থেকে আই লাভ ইউ বলিনি। প্রেমের প্রস্তাব সর্বদাই এসেছে উলটো দিক থেকে। বরাবরই আমি প্রোপোজাল পেয়েছি। নিজে কাউকে প্রোপোজ করিনি। আর এখন তো আমি বিবাহিত।”
তবে এইসব বিষয়ের পাশাপাশি সফল কেরিয়ারের মাঝেই তার মনে একটি বিষয়কে ঘিরে আক্ষেপ জমেছে অনেকটাই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাই আক্ষেপ যে তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন না কাজের ব্যস্ততার কারণে। তিনি বলেন, “জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ আমি বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি না। অথচ দেখতে পারছি তাঁদের ধীরে ধীরে বয়স হচ্ছে। তবে আমার ছেলে মেয়েকে বলব, তোমরা ভালো মানুষ হও।”
View this post on Instagram