Lifestyle: বাস্তুমতে কোন রঙের পর্দা আপনার গৃহে সমৃদ্ধি বজায় রাখবে!
পর্দার রং বাছুন বাস্তু মেনে। বাস্তু বলছে, আপনি যদি আপনার গৃহে পর্দার রং বাস্তু মেনে বাছতে পারেন, তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত সমস্যার কেটে যাবে নিমেষে।পর্দার কাপড় থেকে শুরু করে বসার ঘরের পর্দার কাপড় এমনকি বাথরুমের পর্দার কাপড় ঠিক কেমন রংয়ের হলে তবে আপনার জীবনে কোন সমস্যা থাকবে না, তা জানতে কিন্তু আপনাদের বাস্তু বিশেষজ্ঞদেরই পরামর্শ নিতে হবে। তাই আর দেরি না করে, আমাদের Hoophaap পাতায় য দেখে ফেলুন কিভাবে বাস্তু মেনে ঘরের পর্দার রং বেছে নেবেন।
পূর্বমুখী যে ঘরগুলো আছে সেক্ষেত্রে খয়েরি রংয়ের পর্দা বেছে নিতে পারেন। এই দুটি রং গৃহের মধ্যে ভালোবাসাকে টেনে আনতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বাবা ছেলের মধ্যে সম্পর্ককে ভালো রাখবে এমনটাই বলছেন বাস্তুবিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমমুখী যে ঘর গুলো রয়েছে সেই ঘরগুলোতে হালকা ছাই রংয়ের অর্থাৎ ইংরেজিতে যাকে বলে গ্রে রঙের পর্দা বাছতে পারেন, এই রঙের পর্দা যদি আপনি লাগান তাহলে আপনার জীবন একেবারে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। কোনরকম শূন্যতা থাকবে না।
উত্তর মুখী যে ঘরগুলি আছে সেই ঘরগুলিতে হালকা সবুজ রঙের পর্দা বাঁচতে পারেন। এই ঘরে যদি আপনি পড়াশোনা করেন অথবা বাচ্চার পড়ার ঘর হয় সেক্ষেত্রে এই রং আপনার গৃহে জ্ঞান আরোহন করতে সাহায্য করে।
উত্তর-পশ্চিম মুখী ঘর অবশ্যই সাদা রঙের পর্দা ব্যবহার করবেন।
দক্ষিণ পূর্ব মুখী ঘরগুলোতে অবশ্যই হলুদ, লাল, গোলাপি, এই ধরনের পর্দা লাগাতে পারেন। এই রঙের পর্দাগুলি আপনার গৃহে ভালোবাসাকে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে, যদি এখানে আপনার ঘরের মাস্টার বেডরুম হয় বা এখানে যদি কোন রকম দাম্পত্য কলহের সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই পর্দার রং পরিবর্তন করে এই রঙের পর্দা কিনে আনুন।
শোয়ার ঘরের পর্দার রং – শোয়ার ঘরের পর্দার রংকে অবশ্যই হালকা রঙের হতে হবে যেমন পিচ হালকা, বেগুনি হালকা, হলুদ। সেই পর্দায় যদি গোলাপ ফুলের কোন সুন্দর প্রিন্ট থাকে, তাহলে কিন্তু আরো ভালো হয়। এই বেডরুমে যদি কোনো রকম দাম্পত্যের সমস্যা থাকে, তাহলে এই পর্দার রং কিন্তু তার জন্য খুব ভালো মীমাংসা করে দেবে, বিশেষ করে যারা নতুন বিয়ে করেছেন, তারা এই রঙের পর্দা লাগাতে পারেন। তবে কখনোই খুব বেশি গাঢ় লাল বা কালো রঙের পর্দা শোয়ার ঘরে লাগাতে নেই।
বসার ঘরে পর্দার রং – বসার ঘরের পর্দার রং নীল, হলুদ, গোলাপি রঙের রাখতে পারেন। এই রনহ অনেক ইতিবাচক শক্তি এবং সুখী জীবন যাপনকে আরোহন করতে সাহায্য করে।
খাওয়ার ঘরের পর্দার রং –খাওয়ার ঘরের পর্দার রং গোলাপি, সবুজ এবং নীল করতে পারেন।
বাথরুমের পর্দার রং –বাথরুমের পর্দার রং গোলাপি, ছাই, সাদা কালো এইসব রঙের করতে পারেন।
ঠাকুর ঘরের পর্দার রং –ঠাকুর ঘরের পর্দার রং সবুজ করতে পারেন। বাড়ির এছাড়া হলুদ রঙেরও কোন শেড বেছে নিতে পারেন, ঠাকুর ঘরের জন্য।
Disclaimer: বাস্তুবিদদের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল ভিন্ন হতে পারে।