পবিত্র ঈদ পালন করলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জী। ব্যাস্ত সিডিউলের মধ্যেও ৫ দিন রোজা রাখেন তিনি। নাহ ২৯ দিন রোজা রাখতে পারেননি তিনি যদিও, তবুও বন্ধুকে ভালোবেসে তার কথা স্মরণে রেখে ঈদের সমস্ত নিয়ম পালন করেন ভাস্বর চ্যাটার্জী।
কে এই বন্ধু? বন্ধুর নাম মুসাদ্দিক আহমেদ খান। ইনি কাশ্মীরি হলেও কলকাতায় তার বাস। অতিমারির জন্য মন খারাপ থাকলেও এই বন্ধুর বাড়ি গিয়ে উষ্ণ আনন্দ নিয়েছেন তিনি। বন্ধুর সঙ্গে উপহার বিনিময় করেছেন এবং দাওয়াত নিয়েছেন। এই প্রথম তিনি রমজানের দাওয়াত পেলেন। এই বন্ধু মুসাদ্দিক অভিনেতাকে একটি কুর্তা-পাজামার সেট দিয়েছেন। আর দিয়েছেন আতর। ভাস্বর নিজেও তাকে একটি নতুন কুর্তা উপহার দেন।
দাওয়াত প্রসঙ্গে ভাস্বর একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানান, “বিরিয়ানি, গোরুর মাংস, ফিরনি, সিমুই তো থাকবেই। আর কী কী বিশেষ পদ থাকবে সেটা গিয়ে জানতে পারব। আমার রোজা রাখার খবর নেটমাধ্যমে শেয়ার করতেই সবাই রে রে করে উঠেছিলেন। বলেছিলেন, এ বার ভাস্বর গোরুর মাংস-ও খাবেন! তাঁদের জানাই, আমি আমার মতো খাওয়াদাওয়া করব। এবং সেখানে গো-মাংস থাকবে না। আরও একটা কাজ করব। আমার বাড়ির দুর্গাপুজোয় মুসাদ্দিককে সপরিবারে নিমন্ত্রণ করে আসব। আজ, ঈদের দিনে।”
চলুন ছোট্ট করে জেনে নিই এই ‘ঈদ- উল-ফিতর’ সম্পর্কে। এর মানে হল উপবাস বা রোজা ভঙ্গ করা। প্রথা অনুযায়ী, ইদ শুরু হয় সূর্যাস্তের পর রাতে পবিত্র চাঁদ দর্শনের পর। রমজান মাসের ২৯তম দিনের পর যদি আকাশে পবিত্র চাঁদের দর্শন না হয় তাহলে তার পরের দিন ইদ পালিত হয়। ঈদের দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ। এদিন সবাই লাচ্ছা বা সিমাইয়ের মতো সুস্বাদু খাবার বানান।