Hoop PlusTollywood

Hiran: হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে অসুস্থ বাবার মৃত্যু, অতীত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা হিরণ

‘নবাব নন্দিনী’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’, ‘চিরসাথী’, ‘জ্যাকপট’ থেকে শুরু করে একাধিক বাংলা কমার্শিয়াল ছবিতে দেখা গেছে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে শুধু অভিনেতা হিসেবেই নিজের কেরিয়ার তৈরি করেননি, এখন তিনি খড়গপুরের বিধায়ক। বিজেপি দলের হয়ে লড়েছিলেন হিরণ, এবং জয় ছিনিয়ে নেন। খড়গপুরে বেশ জমিয়ে কাজ করছেন, কিন্তু আচমকা তিনিই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন। আর এতেই চর্চায় ওঠেন তিনি। বর্তমানে অনেকে ভাবছেন হয়তো রং বদল করতে চলেছেন হিরণ। সত্যি কি তাই?

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের আড্ডায় আসেন বিধায়ক হিরণ। জানান জীবনের কিছু গোপন কথা যা কোনো সিনেমার স্ক্রিপ্টকে হার মানাবে। বিধায়ক হওয়ার পর হিরণ স্পষ্ট করে বলেন, ‘তিনি একই সঙ্গে নিন্দিত এবং নন্দিত হয়েও বেসামাল হন না কখনওই। কারণ, তিনি মাটির কাছ থেকে উঠে আসা মানুষ।’

হিরণ বেশ কম বয়সে নিজের বাবাকে হারান। তার বাবা যখন অসুস্থ ছিলেন তখন তাকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সালটা ছিল ১৯৯৭। হিরণের কথায়, তার বাবা বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের মেঝেতে মারা যান। ঠিক এর তিন মাসের মধ্যে মা ও মারা যান। উলুবেড়িয়ার এই ছেলে তার নরম গলায় এও বলেন, ‘‘মাটির বাড়ির টালির ছাদের ঘরে মানুষ। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বর্ষা এলেই খুব খুশি হতাম। কারণ, ভাঙা টালি চুঁইয়ে অঝোরে জল ঝরত। ঘর ভাসত বৃষ্টিতে। আমায় আর পড়তে হত না!’’ অথচ দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রথম হতেন হিরণ।

কিন্তু, বাবার মৃত্যুর পর পড়াশুনো আর করা হয়নি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন ঠিকই, অথচ মানসিক অবস্থা ঠিক না থাকার দরুন পড়াশুনো ছাড়েন। চলে আসেন রাজা রামমোহন রায় রোডের নগেন্দ্র মঠে। ওখানেই তিনি প্রায় তিন বছর ব্রহ্মচর্য আশ্রম পালন করেন। এরপর ফের পড়াশুনো শুরু করেন। এখন তার কাছে জীবন শুধুই রণক্ষেত্র। অভিনয় জীবনেও সেভাবে সাফল্য দেখতে পারেননি হিরণ, অথচ রাজনীতির মঞ্চে আসতেই কটাক্ষের শিকার হন। কিন্তু, খড়গপুরের বিধায়ক হয়ে বুঝিয়ে দেন রাজনীতি তিনি ভালই বোঝেন।