Aindrila Sharma: বোনের অকাল মৃত্যুর পর মুখ খুললেন ঐন্দ্রিলার দিদি
সবার পাশাপাশি তিনিও আশা করেছিলেন এবারেও যুদ্ধে জিতে ফিরবে ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma), ঘটবেই ‘মিরাকল’। তিনি চেয়েছিলেন আবার ছোট্ট বোনের সঙ্গে মেতে উঠবেন খুনসুটি, জীবন্ত করে তুলবেন আলোতে ঘেরা মেয়েবেলাগুলোকে। ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য শর্মা খুব চেয়েছিলেন বোনকে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু রবিবার দুপুরেই সবটা যেন থেমে গেল এক লহমায়। নিথর হয়ে বাড়ি ফিরলেন ঐন্দ্রিলা।
রবিবার সন্ধ্যায় একদিকে শোকে বিহ্বল বাবা-মা। অন্যদিকে পাথরের মতো নির্বাক হয়ে গেছেন ঐন্দ্রিলার কাছের মানুষ সব্যসাচী। কিন্তু ভেতর ভেতর ভেঙে চুরমার হয়ে গেলেও নিজেকে সজীব রেখেছিলেন ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য শর্মা। বোনকে পরিয়ে দিলেন লাল বেনারসি। শেষযাত্রার জন্য তৈরি করে দিলেন ঐন্দ্রিলাকে। শেষ মুহূর্তে চুমুও খেলেন বোনের গায়ে। সকলকে সামলে রাখার দায়িত্ব যেন তিনিই নিলেন একার হাতে। কিন্তু চশমার আড়ালে তার চোখগুলো যেন তখনও খুঁজে বেড়াচ্ছিল দুটো মেয়েবেলাকে। বারান্দায় ছোটাছুটি, আদর, খুনসুটি, হাসির রোল….আরো কত কি!
সোমবার ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য নিজের ফেসবুকের প্রোফাইল ফটো বদলে দেন। ফিরিয়ে আনেন ছোটবেলার নস্টালজিয়া। ঐন্দ্রিলার অবর্তমানে এখন যেন ভরসা এই ছবিগুলিই। এদিন তিনি নিজের ফেসবুকের প্রোফাইল পিকচার এবং কভার ফটোতে নিজের এবং ঐন্দ্রিলার ছবি পোস্ট করেন। প্রোফাইল পিকচারে দুজনের ছোটবেলার ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমার ছোট্ট বুনু..এইভাবেই সারাজীবন দুজন দুজনের হাত ধরে বেঁচে ছিলাম , আছি এবং থাকবো..’। এর ঠিক দুদিন আগেও ঐশ্বর্য নিজের প্রোফাইল থেকে তার এবং ঐন্দ্রিলার একটি ফটো পোস্ট করেন। সেই ফটোর ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমার প্রিয় নায়িকার সঙ্গে। ও আমার সবকিছু’।
রবিবার দুপুরে সবাইকে কাঁদিয়ে ইহলোক থেকে বিদায় নিলেও যেন সবার মনে রয়েই গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। শোকের বার্তাতেও যেন ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ের গল্প অনুপ্রেরণা হয়ে রয়ে গেল সকলের হৃদয়ে। ঐন্দ্রিলা শুধুমাত্র অভিনেত্রী নয়, মেয়ে-বোন-দিদি হয়ে বেঁচে রইলেন সকলের কাছে।