Hoop PlusReality show

Jojo Mukherjee: গায়িকা জোজোকে গুলি করে খুনের পরিকল্পনা!

মিস জোজো, যার গানে এখনও অনেক মানুষের কোমর দুলে ওঠে। স্টেজে শো করতে গেলেই শ্রোতাদের পাগলামি দ্বিগুণ হয়ে যায়। কারণ, তিনি শুধুই যে গান গাইতে ওঠেন স্টেজে এমনটা নয়, পুরো পয়সা উসুল পারফরম্যান্স দেন। যদি কেউ টিকিট কেটে জোজো’র গান শুনতে যান, তবে নিঃসন্দেহে তিনি বাড়ি ফিরে বলবেন একটা শো ছিল বটে। এই জোজো একটা সময় ধারাবাহিকে কাজ করতেন, কিন্তু গানটাই তার কাছে সব। জোজো’র মা ছিলেন গায়িকা। মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন স্টেজে যেতেন ও মায়ের রিহার্সালের সময় নিজেও গান তুলে নিতেন। এইভাবেই একদিন স্টেজে শো করার প্রস্তাব আসে, শুরু হয় নতুন কেরিয়ার। কিন্তু, তাই বলে খুনের পরিকল্পনা? এই ঘটনা কেমন?

মিস জোজো একটা সময় অর্থাৎ, নব্বইয়ের দশক থেকে ইন্ডাস্ট্রিকে একের পর এক দারুণ গান উপহার দিয়েছেন। এখনও তিনি স্টেজে প্রোগ্রাম করেন, বিভিন্ন গানের রিয়্যালিটি শোতে বিচারকের ভূমিকায় থাকেন। এরপরেও এই সুন্দর মানুষটিকে কে খুন করতে চাইবে?

জোজো বেশ ফিল্মি কায়দায় বিয়ে করেন। একদিন শো শেষে তার হবু স্বামীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি চলে না। বাড়িতে বাবাকে চিঠিতে লিখে দেন আজ থেকে এটাই তার ঠিকানা। শেষে এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে নেন। ঘরে আসে কন্যা সন্তান, এমনকি ২০১৯ সালে একটি পুত্র সন্তান পর্যন্ত দত্তক নেন তিনি। এরপরেও খুনের পরিকল্পনা? চলুন খতিয়ে দেখি।

খুন হওয়ার ঘটনা ঘটে বহু বছর আগে। জোজো নিজেই তার ওই ভয়ঙ্কর স্মৃতি তুলে ধরেন ‘অপুর সংসার’ শোতে শ্বাশত’র সামনে। সেদিনের শোতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী লকেট ও জোজো। শ্বাশত’র প্রশ্নের উত্তরে ভয়ঙ্কর স্মৃতি তুলে ধরেন গায়িকা।

একটা সময় দুটো পাড়া থেকে জোজোকে বুক করতে চায় গানের জন্য। গায়িকা জোজো যথারীতি একটি জায়গায় বুকড। তিনি ওই পাড়াতে শো করবেন। সেদিন তিনি গ্রীন রুমে বসে অপেক্ষা করছেন কিন্তু কিছুতেই ডাক আসছে না। পরে তিনি হৈ হট্টগোল আন্দাজ করতে পারেন। গান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাড়ি ফেরতের জন্য তাড়া দেওয়া হয়। বিষয়টা অদ্ভুত ঠেকতে পরে জানতে পারেন যেই পাড়াতে তিনি গান গাইতে যেতে পারেননি সেই পাড়ার একটি ছেলে বন্দুক নিয়ে হাজির। এবং সেই বন্দুকধারী দর্শক আসনে বসে বন্দুক তাক করে রাখে লুকিয়ে। একটি ছেলে দেখতে পেয়ে ক্লাবে খবর দিলে ওই বন্দুকধারী ব্যাক্তিকে আটক করে বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়। সব মিলিয়ে সেদিনের ঘটনা ছিল খুবই ভয়ানক। হয়তো স্টেজের মধ্যেই কোনো এক বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত। একথায়, হিংসা যে মানুষকে কতটা নীচে নামাতে পারে তা এই ঘটনার প্রমাণ।

whatsapp logo