ইমরান খান। ইনি একজন বলিউডে অভিনেতার আগে স্টার কিড হিসেবেই পরিচিত। বাল্যকালে শিশু অভিনেতা হিসেবে প্রথম ক্যমেরার সামনে আত্মপ্রকাশ করবন এই অভিনেতা। তুতো মামা আমির খান করার ‘জো জিতা ও হি সিকন্দর’ এবং ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবি দু’টিতে অভিনয় করেছিলেন। আর এই দুই সিনেমা বক্স অফিসে বেশ হিট হয়েছিল। এরপর আর তিনি অভিনয় করেননি। এরপর নিজের পড়াশোনার জন্য আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন ইমরান। আমেরিকায় নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে ফিল্ম মেকিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। নিজের পড়াশোনা শেষ করে আবার ভারতে ফিরে আসেন বলিউডে কাজ করবেন বলে।
ইমরান ছোট থেকে অভিনেতা হিসেবে কাজ করবেন কোনো দিনই ভাবেননি। তাঁর ইচ্ছা ছিল পৃথক। তিনি স্বপ্ন দেখতেন ভালো পরিচালক হওয়ার। কিন্তু তাঁর সুদর্শন চেহারার জন্য বার বার তার কাছে প্রস্তাব আসে নায়ক হওয়ার। সে সময় রণবীর কপূর, শাহিদ কপূরের মতো স্টারকিডরা একে একে পা রাখছিলেন বলিউউ ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই আবেগে তিনিও বলিউডে এন্ট্রি নিলেন। ২০০৮ সালে মামা আমির খানের প্রযোজনায় আত্মপ্রকাশ করলেন ২০০৮ সালে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ইমরান। ছবির নাম ‘জানে তু ইয়া জানে না’। ইমরান খান-জেনেলিয়া ডি’সুজার জুটিতে কলেজপ্রেমের এই ছবি বক্সঅফিসে সুপারহিট হয়েছিল। প্রথম ছবিতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে আকাশছোঁয়া সাফল্য পেয়েছিলেন।
এরপর বলিউডে একের পর পর সুপারহিট পরিচালক থেকে পরবর্তী সিনেমার জন্য অফার পান। অভিনেতার দ্বিতীয় ছবি ‘লাক’ এবং তৃতীয় ছবি ‘কিডন্যাপ’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। কেরিয়ার থেকে বাঁচাতে ইমরানের পাশে এসে দাঁড়ালেন কর্ণ জোহর। তিনি ইমরান ও সোনম কপূরকে নিয়ে বানালেন ‘আই হেট লভ স্টোরিজ’। কিন্তু এই ছবিটিও বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। এরপর স্টারকিড হওয়ার সুবাধে আরো বেশ কয়েকটি সিনেমা করেন বড় বড় পরিচালকের হাত ধরে। তিনি একের পর এক সুপারহিট নায়িকা ক্যাটরিনা কেফ,করিনা কাপুর খান, দীপিকা পাডুকোন,কঙ্গনা রানাওয়াতের মতো সবার সাথে অভিনয় করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। শেষ ২০১৫ সালে কাট্টি বাট্টি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। এরপর আর কোনোদিন পর্দাতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
২০১১ সালে ইমরান খান নিজের প্রেমিকা অবন্তিকা মালিককে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন বেশ মধুর ছিলেন। তিন বছর পরে জন্ম হয় তাঁদের মেয়ে, ইমারা মালিক খানের। ভালোই চলছিল সব। ইমরান অভিনয় ছেড়ে দিলেও স্ত্রী তাঁর পাশে সর্বদা ছিলেন। ইমরানের সাথে কিছুদিন পর শুরু হয় দাম্পত্য কলোহ। এরপর গুঞ্জন শুরু হয়, অর্থের প্রয়োজনে নাকি স্ত্রী অবন্তিকা বার বার তিনি তার বাবা মায়ের কাছে অর্থ সাহায্য চান। শেষ অবধি মেয়েকে নিয়ে একটা সময় তিনি ইমরানকে ছেড়ে চলেও যান। অবশ্য অফিসিয়ালি তাঁদের মধ্যে ডিভোর্স হয়নি।
প্রসঙ্গত অভিনেতার বেস্ট ফ্রেন্ড অক্ষয় ওবেরয় অভিনেতার সম্পর্কে এক বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন, ইমরান নাকি অভিনয়ের সঙ্গে সব সম্পর্কই চুকিয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে অক্ষয় আরো বলেন, তাঁরা দুজনে অত্যন্ত ভাল বন্ধু। ছোট্টবেলা থেকেই তাঁদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব। তাই ইমরানের ব্যক্তিগত বিষয়ে তিনি অনেক কিছুই জানেন বলে মন্তব্য করেন আর তিনি তার বন্ধুর সব কাজেই ওয়াকিবহাল। তিনি আরো বললেন, ইমরানের স্বপ্ন একজন সফল পরিচালক হওয়ার। অভিনয়ের থেকে পরিচালনা ও চিত্রনাট্য লেখার কাজে তাঁর বন্ধুর নাকি বেশি দক্ষতা রয়েছে। এমনকি ইমরানের পরিচিতরাও চান যে এবার নিজে কোনো ছবি পরিচালনা করুন ইমরান। খুব শীঘ্রই তিনি কোনো সিনেমা পরিচালিত করতে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।