প্রায় একযুগ পর মেয়ের কথা মনে আসে, মেয়েকে দেখতে চাওয়ার ভীষণ ইচ্ছা হল, ডাক দিলেন,মেয়েও হাজির। আর হবেই বা না কেন? এক যুগ পর সমস্ত তিক্ততা এমনিতেই হালকা হয়ে যায়। মন চায় নতুন বন্ধনে জুড়তে। তিক্ততা ভুলে এবার বাপ মেয়ে এক টেবিলে এলো।
কথা হচ্ছে হিন্দি টেলিভিশনের বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি ও রাজা চৌধুরীর একমাত্র জন্য পলক প্রসঙ্গে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে টেলিভিশন অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে বিয়ে করেন শ্বেতা। ২০০৭ সালে শ্বেতা বিয়ের মাত্র নয় বছরের মাথায় বিচ্ছেদের আবেদন করেন। শ্বেতা সেই সময় রাজার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বৈবাহিক ধর্ষণ এবং তাকে প্রায় প্রতিদিন মানসিক-শারীরিক নির্যাতনের। যখন শ্বেতা বিয়ে করেন ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরীকে সেসময় শ্বেতার বয়স ছিল মাত্র ১৯। বিয়ের এক বছরের সময় থেকে রাজার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন প্রেরণা ওরফে শ্বেতা। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঝড় চলে। অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মেয়ে পলককে সাথে করে আলাদা থাকেন শ্বেতা।
দ্বিতীয়বার শ্বেতার জীবনে বসন্ত আসে। ২০১৩ সালে অভিনব কোহলিকে বিয়ে করেন শ্বেতা তিওয়ারি। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। নাম রেয়াংশ কোহলি। কিন্তু এই সম্পর্ক নরক যন্ত্রণা সম। অভিনব এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মেয়ে পলককে মারার অভিযোগে থানায় ডায়েরি করেন শ্বেতা। বর্তমানে অভিনব এবং শ্বেতাও আলাদা থাকছেন।
হ্যাঁ, কসৌটি জিন্দেগি কি’ ধারাবাহিকে অভিনয় শ্বেতা তিওয়ারিকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়।এরপর তার কেরিয়ার মধ্যগগনে পৌঁছায়। এখন তিনি ৪০ এর নারী। যৌবনে এতটুকু ভাটা আসেনি। এবং তার মেয়ে পলক রীতিমত মাকে টেক্কা দিচ্ছে। সম্প্রতি রাজা চৌধুরী কাজের সূত্রে মুম্বই এসেছিলেন। এসেই তিনি দেখা করার অনুরোধ করেন পলককে। অন্ধেরির এক হোটেলে দেড় ঘণ্টার জন্য দেখা করেছিলেন বাবা ও রাজকন্যে। মেয়েকে দেখে প্রাক্তন স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজা। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার লোভ সামলাতে না পেরে, রাজা তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে মেয়ে পলকের সঙ্গে হাসি মুখে তোলা ছবি পোস্ট করেছেন। যদিও রাজা চৌধুরী দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন কিন্তু সেখানে কোনো সন্তান এখনও পর্যন্ত হয়নি।
View this post on Instagram