Bengali SerialHoop Plus

অভিনেত্রী কনীনিকার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন লীনা গাঙ্গুলী, দূরত্ব বেড়েছিল পারস্পারিক সম্পর্কে

‘পরমেশ্বরী’ একটা সময় টেলি পর্দার জনপ্রিয়তাকে এতটাই ছুঁয়ে ফেলেছিলেন যে এরপরেই তার দুই গালে আসে মিষ্টি ‘হামি’। ‘স্বপ্ননীল’ দিয়ে একটা সময় পথ চলা শুরু হয়, ‘এক আকাশের নীচে’, ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনিও একজন ভারি অভিনেত্রী হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। অবশ্য মাঝখানে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। লোকজন প্রায় ভুলতে বসেছিল আজকের পরমেশ্বরীকে। বিয়ে করলেন অভিনেত্রী একজন প্রযোজককে, এরপরেই হাতে আসে ‘অন্দরমহল’ ধারাবাহিকের কাজ। রাত সাড়ে নটার দিকে এগোলেই, পরমেশ্বরীকে দেখার জন্য রীতিমত হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন দর্শকরা।

মাঝখানে আচমকাই এই সিরিয়াল থেকে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী কনীনিকা। অনেকের ধারনা হয় হয়ত অন্তঃস্বত্তা অভিনেত্রী তাই ধারাবাহিক ছাড়ছেন। কিন্তু তখন কনীনিকা বলেছিলেন যে তিনি প্রেগন্যান্ট নন, কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারনে বিরতি নিয়েছেন। ঠিক সেই সময় একটি ঘটনা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমের পাতায়। একটা রম রমিয়ে চলা ধারাবাহিক থেকে কেউ এমনি এমনি বিরতি নেয় না। অবশেষে জানা গেল, গল্পটা অন্য জায়গায়। গোল বেঁধেছিল পারিশ্রমিক নিয়ে।

কনীনিকার অভিযোগ তিনি এখনও ১১ লক্ষ টাকা পান। প্রযোজনা সংস্থা থেকে। এরপরেই প্রযোজনা সংস্থার কর্মকর্তা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ধারাবাহিকের পরিচালকও। তার কথা অনুযায়ী জানতে পারা যায় যে মাসে কুড়ি দিন কাজ করার শর্তে চুক্তি করা হয়। কিন্তু কনীনিকা সেই শর্তে রাজি ছিলেন না। তিনি বলেন, ১৩ দিনের বেশি কাজ করতে পারবেন না। সুতরাং কোনও চুক্তি হয়নি। কিন্তু তিনি কুড়ি দিনের কাজের নিরিখেই টাকা পেয়েছেন। সেটা তো হওয়া উচিত নয়। কনীনিকা আর কোনও টাকা পাবেনই না। উল্টে ওঁকে তো অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হয়েছে।

কনীনিকার বিরুদ্ধে লীনা এও বলেছেন যে মাঝে মধ্যেই শ্যুটিং ছেরে চলে যেতেন কনীনিকা। অবশ্য এই ব্যপারে কনীনিকার বক্তব্য ছিল যে তিনি আর্টিস্ট ফোরামকে সবটা জানিয়েছিলেন। এবং তাকে বিগিনার্স কনট্র্যাক্ট পাঠানো হয়েছিল বলেই তা ফেরত দেওয়া হয়। এছাড়াও মাসের ১২-১৩ দিনের মধ্যেই তিনি সবটা শুট করে দিতেন। না হলে ধারাবাহিক চালানো সম্ভব হতো না। এর মীমাংসা সকলের সামনে না এলেও সেদিনের পরমেশ্বরী কিন্তু আজকের ‘মুখার্জী দার বউ’।

Related Articles