চলতি বছরে দুটি নতুন কাজ করলেন প্রিয়াঙ্কা। কী সেই কাজ? প্রথমত, আত্মজীবনী লিখলেন এবং তা প্রকাশ করেন। দ্বিতীয়ত, নিউ ইয়র্কে নতুন রেস্তোরাঁ খুললেন তিনি, যার নামের মধ্যে রাখেন বাঙালিয়ানার ছোঁয়া।
বলিউড থেকে অনেকটা দূরেই আছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি নিক ঘরনী এখন, দেশি গার্লের তকমা পাওয়ার পর তিনি যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তাতেই খানিকটা লেবুর রস পরে ছানা হয়ে যায়। বলিউড ঘিরে প্রিয়াঙ্কার ক্ষোভের শেষ নেই। বলিউডের সমস্ত অন্ধকার দিক তিনি সকলের সামনে এনেছেন। প্রসঙ্গত, আত্মজীবনী লিখেছেন প্রিয়াঙ্কা নিউ ইয়র্কের মাটিতে বসেই। শৈশব থেকে কেরিয়ার জীবন যা যা ঘটেছে তার সবটাই তুলে ধরেন তিনি সেই বইতে। নাম রেখেছেন বইয়ের unfinished, অর্থাৎ অসমাপ্ত।
View this post on Instagram
জীবন এখনও চলছে তাই একের পর এক কাহিনী যোগ করতে চলেছেন তিনি। বলিউডের অনেক ঘৃণ্য কাহিনী তিনি অকপটে বলে গেছেন। পরিচালক ও প্রযোজকদের অমার্জিত কথা তিনি তুলে ধরেছেন ওই বইয়ের পাতায়। এবারে জীবনকে অন্যভাবে সাজাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি খুলেছেন তার নিজের রেস্তোরাঁ, যেখানে পাওয়া যাবে সব ধরনের ভারতীয় খাবার। ওহ্ রেস্তোরার নাম রেখেছেন একদম বাঙালিয়ানা মিশিয়ে। মায়েরা এবং স্ত্রী অথবা স্বামীরা ডেকে থাকেন এই নামে একে অপরকে। নিককে ভালোবেসে কি প্রিয়াঙ্কা এই নামেই ডাকেন? নাকি ভারতীয় কালচার মনে রাখার জন্য এই নাম! নাম রেখেছেন সোনা।
View this post on Instagram
উল্লেখ্য, প্রিয়াঙ্কা ও মণীশের যৌথ উদ্যোগেই সোনার পথচলা শুরু। তাই, রেস্তোরাঁর কাজের সঙ্গে যুক্ত বাকি সদস্য মণীশ গয়াল, ডেভিড রবিন ও ডিজাইনার মেলিসা বোয়ার্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, এই দুইজন বন্ধু ছাড়া তাঁর স্বপ্ন পূরণ করা মোটেই সম্ভব হত না। এছাড়া ধন্যবাদ দিয়েছেন ডিজাইনার মেলিসা বোয়ার্স এবং গোটা টিমকে। এদিন প্রিয়াঙ্কা বন্ধু মণীশ লেখেন, “রেস্তোরাঁর ডিজাইন, মেনু, মিউজিক, নাম সবের ক্ষেত্রেই প্রথম থেকে প্রিয়াঙ্কা সহযোগিতা করেছে। সোনার কোনায় কোনায় রয়েছে প্রিয়াঙ্কার ছোঁয়া।”