ফেসবুক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি যা করছেন তাই কেউ না কেউ দেখছে। অর্থাৎ এখানে আপনি নজরবন্দি। পাড়ার কাকিমা বা মাসিমার দরকার পড়বে না। শুধু একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এই খানে যদি আপনার ঘর থেকে তাহলে জেনে রাখবেন আপনার গতিবিধি সব নজরবন্দি। সেরকমই নেট জনতার চোখে আটকে গেলেন টলিউডের মিষ্টি অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।
সোমবার এক ইংরাজি সংবাদপত্রের এক সমীক্ষায় টলিউডের সবচেয়ে ‘কাঙ্খিত’ পুরুষ হিসেবে একদম প্রথমে আছেন যশ দাশগুপ্ত। এটা দেখা মাত্রই ঋতাভরী চক্রবর্তী হা হা হা করে হেসে ওঠেন, মানে হা হা হা রিয়্যাক্ট দেন। ব্যাস, যেই না হা হা হা হাসির রিয়্যাক্ট দেন ওমনি একদল নেট নাগরিক তার স্ক্রিনশট নিয়ে নেন এবং তা কমেন্ট বক্সে ছড়িয়েও দেন। তাহলে ঋতাভরী হাসলেন? মানে খিল্লি নিলেন? উত্তর ওনার জানা বটে। অবশ্য কিছুক্ষন পরেই হা হা হা রিয়্যাক্ট তুলে নেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।
ঋতাভরী অবশ্য নিজেও চতুর্থ নম্বরে রয়েছেন। প্রথম কাঙ্ক্ষিত নারী মিমি, দ্বিতীয় মধুমিতা, তৃতীয় স্থানে নুসরত এবং চতুর্থ স্থানে ঋতাভরী নিজে। তাহলে উনি নিজে চতুর্থ স্থানে থেকে ফার্স্ট বয়কে কেন ভেংচি কাটলেন? এটা কি মশাই ক্লাস ওয়ান টু এর শ্রেণীকক্ষ? যে একজন কয়েক নম্বর বেশি পেয়ে ফার্স্ট হল মানে পরের জন ভেংচি কাটবে? এ হল গণমাধ্যম, এমন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটু জিভ দেখলেই বলা হয় উফ্ কত বড় জিভ। হয়তো ঋতাভরী ভুল বশত হা হা হা রিয়্যাক্ট দিয়েছেন কিংবা বন্ধুত্বের মধ্যে মজার ছলে দিয়েছেন। সুতরাং পুরো ব্যাপারটাই একটা গসিপ ছাড়া আর কিছু নয়।
কিন্তু,নেট জনতা একদম বিড়ালের মতন। মাছের গন্ধ দূর থেকে পান। আর ছুকছুক করে কখন ওই মাছে কামড় দেব। এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই।।যদিও যশ কোনো রকম পাল্টা রিয়্যাক্ট করেননি, বরং নিজের এমন জয় উপভোগ করছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায়। ইনস্টাগ্রাম পোস্ট হোক বা স্টোরি, সব জায়গায় এখন নিজের ছবি আর তাতে বইছে একগুচ্ছ শুভেচ্ছা বার্তা।
