Biplab Chatterjee: লীনা গাঙ্গুলীকে গুলি করে মারা উচিত: বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়
টেলিভিশনে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় একটি পরিচিত নাম। ‘শ্রীময়ী’, ‘মোহর’-র মতো একাধিক জনপ্রিয় মহিলা কেন্দ্রিক ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যকার তিনি। এছাড়াও তিনি রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। একটি সংবাদ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নিজে একজন নারী তার সঙ্গে আবার মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানও বটে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তিনি তার ধারাবাহিকে নারী চরিত্রদের অবনমন ঘটাচ্ছেন। নারীদের হাসির খোরাক করে তুলছেন সমাজে তাঁর ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে। সিরিয়াল, সিনেমা সমাজের নির্যাস থেকেই তৈরি হয়। তাই সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়ার দায়িত্ব বহন করে টেলিভিশন।
কিন্তু বিপ্লব বাবুর মতে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর সিরিয়ালে যেভাবে নারীদের তুলে ধরছেন তাতে কি আদতে সমাজের কাছে কিছু ভালো বার্তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে? না কি নারীরা ক্রমশ অসম্মানের দিকে এগোচ্ছেন? এই প্রশ্ন সংবাদমাধ্যমকে রাখেন তিনি। সামাজিক অবক্ষয়ে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে গুলি করে মারা উচিত! উত্তেজনার বশে এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন তিনি। বিপ্লবের মন্তব্যের বিরোধিতা করে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় পাশে দাঁড়ান তার বহুদিনের সতীর্থ ভরত কল। লীনার পাশে দাঁড়ান রাহুলও।
ডাকসাইটে দুঁদে খলনায়ক ঠিক কি কারণে এতটা উত্তেজিত? এর উত্তরে তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘একা লীনা নন, সমস্ত ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে, চ্যানেলের বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ। লীনার প্রতি বাড়তি অভিযোগ উনি নিজে নারী বলে। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিজের চোখে নারীদের দুর্ভোগ দেখতে পাচ্ছেন। তার পরে তিনিই নারীদের এ ভাবে পর্দায় তুলে ধরছেন! এক সময় একচেটিয়া খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। কিন্তু বড় পর্দায় খলনায়ক হিসেবে একটি মানুষকে খারাপ দেখানো হয়েছে। ধারাবাহিকে সবসুদ্ধ তেমন! ব্যক্তি হিসেবেও হয়তো আমি খারাপ। কিন্তু আমার থেকেও খারাপ কিছু দেখতে সত্যিই খুব বাজে লাগে।’’
তাঁর দাবি, বর্তমানে সমস্ত সিরিয়াল গল্পহীন ভাবে শাশুড়ি বৌমার কুটকাচালি এবং পরকীয়ার ফর্মুলায় চলছে। যেন একটি স্বামীর একাধিক বিয়ে থাকা আবশ্যক। তাঁর রুচিতে নাকি এই সকল ধারাবাহিক পৌঁছায় না কিন্তু স্ত্রী এর জন্য বাধ্য হয়ে দেখতে হয়। পরিবারের গুরুজনরা যেখানে সকলকে গড়েন এই সিরিয়ালগুলো তে দেখানো হয় তাঁরা সংসার ভাঙতে ব্যস্ত। নিজেদের বাড়িতে হলে এমন মানতে পারছেন লেখকেরা? এই প্রশ্ন রাখেন তিনি। তার কাছে এই পাকে একটিমাত্র পদ্ম হল ‘প্রথমা কাদম্বিনী’। চেনা ছকের বাইরে গিয়ে সাহসী কিছু দেখাতে পেরেছে ধারাবাহিকটি। তিনি এই রকম ধারাবাহিক আরও দেখতে চান। ‘তেরো পার্বণ’, ‘জন্মভূমি’-র মত ধারাবাহিক আর আসবে না বলে মনে করেন তিনি। একটি চ্যানেলে পরিচালনার বিষয়ে যোগযোগ করলে তাঁকে বলা হয় শিক্ষামূলক ধারাবাহিক দেখানো যাবে না।