বলিউডের মোস্ট এলিজিবল অ্যান্ড ওয়ান্টেড ব্যাচেলর সলমন খান (salman khan)। প্রায় প্রতি মাসেই ‘ভাইজান’-এর বিয়ে নিয়ে শুরু হয় তুমুল জল্পনা। পঞ্চাশ পেরিয়েও একই রকম আকর্ষক সলমন। পরিবারকেন্দ্রিক সলমন নিজের পরিবারের যত্ন নিতে পছন্দ করেন। তাঁর মা সলমা খান (salma khan) তাঁর সবচেয়ে ভালো বন্ধু। অন্যান্য সেলিব্রিটিদের মত সলমনও মাতৃদিবসে সলমা খানের একটি শাড়ি পরা ছবি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন। এই ছবিতে অনেকেই সলমাকে মাতৃদিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু নজর কেড়েছে সঙ্গীতা বিজলানি (sangeeta bijlani)-র ‘মম’ কমেন্টটি। হ্যাঁ, এই সেই সঙ্গীতা, যিনি কিনা সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা। তবে সত্যিই কি তিনি ভালোবেসেছিলেন সলমনকে?
তাহলে ফিরে যাওয়া যাক, নব্বইয়ের দশকের সেই দিনগুলিতে যখন সলমন খান ভারতজোড়া খ্যাতি পাননি। সবেমাত্র তাঁর কয়েকটি ফিল্ম হিট করেছে বলিউডে। উঠতি নায়ক সলমনের প্রেমে পড়েছিলেন পোড়খাওয়া অভিনেত্রী ও প্রাক্তন ‘মিস ইন্ডিয়া’ সঙ্গীতা। তখন সলমন ও সঙ্গীতার জুটি বিভিন্ন অ্যাডভার্টাইজমেন্টে হিট ছিল। তাঁদের জুটিকে ফিল্মের জন্যও মনোনীত করতে শুরু করেছিলেন প্রযোজক ও পরিচালকরা। সলমনের পরিবারের সঙ্গেও খুব ভালো সম্পর্ক ছিল সঙ্গীতার। দীর্ঘ দশ বছর তাঁদের এই সম্পর্ক চলার পর সঙ্গীতা ও সলমনের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন তাঁদের বিয়ের। কিন্তু সলমন জানতেন না সঙ্গীতার জীবনে তখন প্রবেশ করেছেন আরেক পুরুষ, তৎকালীন ক্যাসানোভা ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন (Mohammed azharuddin)। ফলে সলমন ও সঙ্গীতার বিয়ের কার্ড ছেপে অতিথিদের নিমন্ত্রণ করার পর অভাবনীয় ভাবে বিয়ের আটচল্লিশ ঘন্টা আগে সলমনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন সঙ্গীতা। খান পরিবার এই ঘটনায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন। এই ঘটনার ফলেই সলমন মানসিক ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন।
পরবর্তীকালে তুমুল বিতর্ক তুলে আজহার ও সঙ্গীতার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু আজহারের পরিবার এই বিয়েকে সমর্থন করেনি। এমনকি আজহারউদ্দিনের প্রথমা স্ত্রী নৌরিন(Naureen) বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাঁর শ্বশুরবাড়িতেই কন্যার মর্যাদায় থাকতেন। কিন্তু আজহার ও সঙ্গীতার এই বিয়ে আজহারের জীবনে এক মর্মান্তিক ঘটনাকেও ডেকে এনেছিল। আজহার ও সঙ্গীতার এই বিয়ে পরবর্তীকালে আজহার ও নৌরিনের কনিষ্ঠ পুত্রসন্তান মহম্মদ আয়াজউদ্দিন (Ayazuddin)-কে ‘রেকলেস’ করে তুলেছিল। সঙ্গীতাও আজহারের সঙ্গে আয়াজকে দেখা করতে দিতেন না। সব মিলিয়ে ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে উঠেছিল প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার আয়াজ। বাইককেই সে তার সঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছিল। বাইক দুর্ঘটনাই কেড়ে নিয়েছিল আয়াজের প্রাণ। আয়াজের মর্মান্তিক মৃত্যু চিড় ধরিয়েছিল আজহার ও সঙ্গীতার সম্পর্কে। এরপর ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার জ্বালা গাট্টা (Jwala gatta)-র সঙ্গে আজহারের সম্পর্কের গুজব চিরতরে সঙ্গীতা-আজহারের বিবাহিত জীবনে ইতি টানে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর সঙ্গীতা মানসিক ডিপ্রেশনের শিকার হলে সলমন তাঁকে সেই ডিপ্রেশন থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করেন। এমনকি সঙ্গীতার ফিটনেসের জন্য সঙ্গীতা সলমনের জিম ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সলমন খান এখন সম্পর্কে লক্ষ্মণরেখা বজায় রাখতে শিখে গেছেন। অনেকেই বলেন, সলমনের পরিবারের সঙ্গে নাকি সঙ্গীতার দারুণ বন্ধুত্ব। এমনকি একাধিক ছবিতে সলমনের সাথে সঙ্গীতাকে দেখা গেলেও সলমন কিন্তু নিরুত্তাপ। প্রাক্তন প্রেমিকার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও সলমনের সঙ্গে আগের মতো গাঢ় বন্ধুত্ব তাঁর নেই।
View this post on Instagram