অফিস হোক বা ব্যবসা বা শিল্প মহল যেকোনো জায়গায় জুনিয়রদের সঙ্গে অদ্ভুত এক আচরণ করা হয় প্রথম দিকে। অনেকেই সেই অদ্ভুত আচরণের শিকার হয়ে মনোবল ভেঙে ফেলেন, কেউ কেউ প্রতিভা আর ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করে এগিয়ে যান, সেরকমই একটি উদাহরণ হল- শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly).
কমার্শিয়াল ছবি দিয়েই শুভশ্রীর কেরিয়ার শুরু। কিন্তু, পরিণীতা দিয়েছে শুভশ্রীকে বড় ব্রেক। পরিণীতা শুভশ্রীকে প্রকাশ করার সুযোগ করে দিয়েছে, এছাড়া এই পরিণীতা গল্প দিয়ে শুভশ্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনিও অন্য ধারার গল্প আঁকতে পারেন।
পরিচালক তথা স্বামীর আত্মবিশ্বাস আর ভালোবাসায় সেই দুষ্টু মিষ্টি শুভশ্রী নিজেকে পরিণীতা করে তুলতে পেরেছেন, সেইজন্যেই তার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের মধ্যে এখনও শুভশ্রীকেই বাছা হয়। এমনকি, ইউভান আসার আগে এবং পরেওর শুধুই শুভশ্রী। ইতিমধ্যে, তার অভিনীত ‘ধর্মযুদ্ধ’, ‘হাবজি গাবজি’, ‘বিসমিল্লা’—মুক্তি পেয়েছে। মহালয়ার শ্যুট শেষ, সেখানেও শুভশ্রী। এদিকে, ঠিক পুজোর মধ্যে মুক্তি পাবে পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ‘বৌদি ক্যান্টিন’। এবং পরে মুক্তি পাবে ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। সব মিলিয়ে গোল্ডেন অপার্চুনিটি (Golden opportunity)।
সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী বলছিলেন যে একটা সময় তাকে হাতে স্ক্রিপ্ট দেওয়া হত না। চিত্রনাট্য আগে থেকে পড়ার ব্যাপার ছিল না। শুধু বলে দেওয়া হত তুমি এই ছবিটা করছ। ফ্লোরে গিয়ে বলা হত, এই সংলাপ বলে দাও ব্যস। একবার চিত্রনাট্য চাইতে গিয়ে পরিচালক শুভশ্রীকে বলেই বসেন যে বাবা! এত বড় হয়ে গিয়েছিস যে স্ক্রিপ্ট চাইছিস।