Hoop News

Summer Vacation: তীব্র গরমে নাজেহাল খুদে পড়ুয়ারা, ‘মর্নিং স্কুল চাই’ বলছেন অভিভাবকরা

গতকাল বিদ্যালয় খুলে গেলেও গরমের জেরে রীতিমতো হাঁসফাসানি অবস্থা পড়ুয়াদের কিন্তু পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে গরমের মধ্যেও পঠন পাঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এরকম পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছে সরকার। একাধিক জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোন করে রীতিমতো খোঁজ নিচ্ছেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলিতে গরমে নাজেহাল। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি তাপ প্রবাহের জোরে বাঁকুড়ার পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে যাওয়ারও খবর আছে।

গরমের জন্যই এবারে গরমের ছুটি অনেকটা এগিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে শিক্ষা দফতর, কারণ এপ্রিল মাসের বাইশ তারিখ থেকে ছুটি পড়ে গেছে। হাঁস ফাঁসানি গরম, সেই সময়ও ছিল, তবে সেই সময় তাপপ্রবাহের সঙ্গে ছিল শুকনো বায়ু। তবে এখন অর্থাৎ প্রাক বর্ষার পূর্বে আমরা দেখতে পাচ্ছি গরমের সাথে সাথে রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি, ঘেমে নেয়ে একসা হয়ে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। প্রত্যেকেই এই অবস্থাতেই ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ সিলেবাসের কথা মাথায় রেখে। এই অবস্থাতে যদি কোনো কারণে আবারো গরমের ছুটি পড়ে যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

কিছুদিন পর থেকেই শুরু হবে দ্বিতীয় সেমিটিভ পরীক্ষা। গরমের ছুটি অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার জন্য সিলেবাস কিছুতেই সময় মত শেষ করা যাবে না। অনেক অভিভাবক বলছেন, এই সময় মর্নিং স্কুল করে দিতে। কিন্তু সেটাও কি সম্ভব? আমরা প্রত্যেকেই জানি, উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে এখনো পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।

দক্ষিন বঙ্গের বেশ কিছু জেলার তাপপ্রবাহেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একদিকে খুশির খবর ১৪-১৫ তারিখ নাগাদ দক্ষিণ বঙ্গের সমস্ত জেলায় ঝড় বৃষ্টি হতে পারে, এতে খানিকটা কমতে পারে তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এটাই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। খানিকটা স্বস্তি পেতে পারে পড়ুয়া সহ দক্ষিণ বঙ্গবাসী।

Related Articles