Summer Vacation: তীব্র দাবদাহে সোমবার থেকেই জোরকদমে স্কুলে শুরু পঠনপাঠন, গরমের ছুটির আপডেট কি!
খুলে গেল রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল। প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রায় দেড় মাস ধরে ছুটি ছিল স্কুলগুলিতে (School Summer Holiday)। এ বছর মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ায় ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্কুলগুলিতে। মাঝে ঝড়বৃষ্টির কারণে গরম কমলেও স্কুল খোলা হয়নি। উপরন্তু কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, যে হারে গরম আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাতে ফের ছুটি পড়ে যেতে পারে স্কুলগুলিতে। কিন্তু শেষমেষ সব গুঞ্জন ধূলিসাৎ করে ১০ ই জুন থেকেই খুলে গেল স্কুল।
সময়ের আগেই পড়েছে গরমের ছুটি
এ বছর এপ্রিল থেকেই প্রচণ্ড গরমে পুড়েছে রাজ্যের প্রায় সব জেলা। বেশ কিছু জেলায় তাপমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছিল ৪০ ডিগ্রির অঙ্ক। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পড়ুয়ারা যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়ে তার জন্য স্কুলগুলিতে অনেকটাই এগিয়ে আনা হয়েছিল গরমের ছুটি। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ৬ ই জুন থেকে স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়া হবে। কিন্তু সে সময়ে পরিস্থিতি দেখে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করা হয়, ২২ শে এপ্রিল থেকেই ছুটি পড়বে স্কুলগুলিতে। খুলবে ৩ রা জুন। মাঝে ঝড় বৃষ্টির কারণে বেশ খানিকটা তাপমাত্রা কমায় বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠনের তরফে দাবি উঠেছিল, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার দিকটা চিন্তা করে স্কুল খুলে দেওয়া উচিত। কিন্তু তা হয়নি।
ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা
গত ৩ রা জুন শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য স্কুল খোলা হলেও ক্লাসরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য ছাত্রছাত্রীদের আসতে বলা হয় ১০ জুন থেকে। কিন্তু তার মাঝেই ফের নতুন গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন করে গরমের ছুটি আরও বাড়তে পারে স্কুলগুলিতে। এদিকে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে এ বছর থেকেই শুরু হয়েছে নতুন পাঠক্রম। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মোট চারটি সেমিস্টার দিয়ে পাশ করতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। নতুন পাঠক্রমের সঠিক বই এখনও প্রকাশিত হয়নি। দীর্ঘ ছুটির কারণে সিলেবাস শুরুই করা যায়নি। এদিকে প্রথম সেমিস্টার প্রায় এসেই গিয়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা কীভাবে পাশ করবে তা নিয়ে চিন্তা শুরু হয়েছিল।
ঠিক সময়েই খুলল স্কুল
নতুন করে ছুটির বিষয়ে গুঞ্জন ছড়ালেও এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। যেমন পূর্বে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, ১০ জুন থেকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাবে, তেমনি এদিন থেকেই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে পঠনপাঠন।