whatsapp channel

Aindrila Sharma: এভাবেই ফিরে আসা যায়, ক্যান্সার জয়ী ঐন্দ্রিলা হাসিমুখে হাজির ‘দিদি নং ১’-এর মঞ্চে

“হারবো তবু মানবো না হার হাজার ক্ষতদাগে, আলোর মতো উঠব ফুটে ফুরিয়ে যাওয়ার আগে.....” প্রাণশক্তি! শুনতে নিছক একটি শব্দবন্ধ লাগলেও ততটা সহজ নয়। মানুষ কি না করতে পারে এই প্রাণশক্তির…

Avatar

HoopHaap Digital Media

“হারবো তবু মানবো না হার হাজার ক্ষতদাগে, আলোর মতো উঠব ফুটে ফুরিয়ে যাওয়ার আগে…..”

প্রাণশক্তি! শুনতে নিছক একটি শব্দবন্ধ লাগলেও ততটা সহজ নয়। মানুষ কি না করতে পারে এই প্রাণশক্তির উপর ভর করে। প্রাণশক্তির জোরেই হয়তো ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে নিজেকে না ভাঙতে দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করা যায়। শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছাশক্তির ভরেই ‘জিয়নকাঠি’ খ্যাত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা জয় করেছেন মারণ রোগকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি যখন একদম স্বাভাবিক, জোর কদমে চালাচ্ছেন সিরিয়ালের শুটিং তাঁর শরীরে হঠাৎ করেই ধরা পড়ে মারণ রোগ। আসলে জীবনের এই রকম মোড়ে আসতে হবে এই প্রত্যাশা কেউ রাখেনা।

দীর্ঘ রোগভোগ, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশনের মত অসহনীয় যন্ত্রণাকে কাটিয়ে ঐন্দ্রিলা এখন সুস্থ। বহুদিন বাদে আবারও দেখা যাবে তাঁকে ছোটপর্দায়। আবারও আসবেন তিনি ক্যামেরার সামনে। আবারও শুনবেন সেই পরিচিত শব্দ ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’। এই সুখবর জানালেন তাঁর প্রিয় মানুষ ‘বামদেব’ অর্থাৎ সব্যসাচী চৌধুরী।

সিরিয়াল নয় জি বাংলার দিদি নং ১-এর মঞ্চে দেখা যাবে তাকে। গতকালই সেই এপিসোড এর শ্যুটিং সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল দুটি বিপরীত ছবি একসাথে কোলাজে পোস্ট করেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। যেখানে একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঐন্দ্রিলা হাসপাতালের বেডে শুয়ে শরীরে তার একাধিক নল আবার অন্য ছবিতে দেখা যাচ্ছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনাবিল আনন্দে নেচে উঠছেন ঐন্দ্রিলা। বৈপরীত্য কি অদ্ভুত সুন্দর জিনিস! বরাবরই মনের মানুষের জন্য কলম ধরেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। এবারেও তিনি তার লেখকসত্ত্বার প্রকাশ ঘটিয়ে আবেগঘন পোস্ট করে লেখেন, “প্রথম ছবিটি দিল্লির হাসপাতালে তোলা, কেমো শুরু হয় সেইদিন।১লা মার্চ, ২০২১ দ্বিতীয় ছবিটি গতকালের। ১ মার্চ, ২০২২। উপায় না থাকলে, হিমশীতল রাতে নিজের স্বপ্নগুলোকে ঝলসে তাপ পোয়াতে হয়। ভোরের আলো ফুটলে, ফের নতুন করে স্বপ্ন বুনতে হয়। নিজের স্বপ্নপোড়া গন্ধ যতদিন তোমার নাকে লেগে থাকবে, জানবে তুমি অপ্রতিরোধ্য। এভাবেই ফিরে আসা যায়।”

রাখার মত রাখতে পারলে কি না থেকে যায় ভালোবেসে? সব্যসাচীর মতো বন্ধু যদি বিপদের রাতগুলোতে সাহসের পরশ যোগায় তাহলে অনায়াসেই সমস্ত কঠিন পথ পোরোনো যায়। এমনই সব আবেগঘন মন্তব্য এ ভরে গেছে তাঁর কমেন্ট বক্স। কেউ কেউ তো আবার কেঁদে ফেলেছেন। গতবছর ঐন্দ্রিলার ক্যান্সার ধরা পড়া থেকে শুরু করে ক্যান্সার মুক্তি পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে প্রকৃত বন্ধু হয়ে পাশে থেকেছেন সব্যসাচী। কোনদিনও ভেঙে পড়তে দেননি ঐন্দ্রিলাকে। যখন ঐন্দ্রিলা নাচের জন্য প্রথম পায়ে ঘুঙুর তুলে নেয় সেই ছবিও পোস্ট করে আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media