Aindrila Sharma: মার্চেই বিয়ের কথা ছিল, যোগাযোগ রেখেছেন সব্যসাচী? চোখ ছলছল ঐন্দ্রিলার মায়ের
মানুষ হারিয়ে যায়, থেকে যায় স্মৃতি। সেই স্মৃতি কখনো মুখে হাসি ফোটায়, কখনো ভারাক্রান্ত করে তোলে মন। আজ, ২০ নভেম্বর তেমনি একটা দিন প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) পরিবারের কাছে। আজ থেকে এক বছর আগে এই দিনেই দীর্ঘ অসুস্থতার পর ইহজগতের মায়া ত্যাগ করে চলে যান তিনি। দু দুবার ক্যানসারকে হারালেও তৃতীয় বার পরাজয় স্বীকার করতে হয় ঐন্দ্রিলাকেই। বছর ঘুরে গেলেও ছোট মেয়েকে ভুলতে পারেননি মা শিখা শর্মা। পারার কথাও নয়। মিষ্টির (এই নামেই ঐন্দ্রিলাকে ডাকতেন তাঁর মা) প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে চোখের জল বাঁধ মানল না তাঁর।
বহরমপুরে নিজেদের পুরনো বাড়িতে রয়েছেন এখন ঐন্দ্রিলার মা। তিনি বিশ্বাস করেন, মিষ্টি শারীরিকভাবে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তিনি এখনো তাঁকে অনুভব করতে পারেন। গত বছরের মুহূর্তগুলো এখনো টাটকা হয়ে রয়েছে তাঁর কাছে। সংবাদ মাধ্যমকে শিখা শর্মা বলেন, গত বছর নভেম্বরে অসুস্থ হলেও প্রাণ তো ছিল ঐন্দ্রিলার। সকলেই ভেবেছিলেন, সেবারও লড়াই করে ঠিক সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। কিন্তু সবটাই কেমন বদলে গেল। ১ লা নভেম্বর নতুন ছবির কাজে গোয়া যাওয়ার কথা ছিল ঐন্দ্রিলার। তার আগের দিন সব্যসাচী চৌধুরীর জন্মদিনে হইহই করে পরের দিনও সকাল থেকে টুকটাক কাজ করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাত পা ছেড়ে দেয়, বমি হতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর কথা বলেননি ঐন্দ্রিলা।
ওই ২০ দিন হাসপাতালে ঐন্দ্রিলার পাশে ঠায় বসেছিলেন সব্যসাচী। চলতি বছরের মার্চ মাসের ১২ তারিখ তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। গত নভেম্বরেই হয়ে যেত বিয়েটা। পিছিয়ে যায় শুধু ঐন্দ্রিলার আবদারে। তিনি চেয়েছিলেন বড় চুল নিয়ে সেজেগুজে বিয়ে করতে। কিন্তু সেই সময়টাই দিলেন না ঐন্দ্রিলা। শিখা শর্মা জানান, এখনো নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তাঁর সব্যসাচীর সঙ্গে। কলকাতায় এলে দেখা করে যান অভিনেতা। মিষ্টির কথা ভুলতে পারেননি সব্যসাচীও। তাঁকে ছাড়া আর কাউকে তিনি কোনোদিন ভালোবাসতে পারবেন বলেও মনে করেন না শিখা শর্মা।
২০ তারিখটা বহরমপুরে বৃক্ষরোপণের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছেন ঐন্দ্রিলার মা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজে এবং বন দফতরের মাধ্যমে ২৫ টি বৃক্ষরোপণ করেছেন তিনি। জীবিত থাকলে ২৫-এই যে পা দিতেন ঐন্দ্রিলা। আদরের মিষ্টির স্মৃতি নিয়েই আছেন তাঁর মা।