১৯৯৪ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা একাধিক কারণে স্মরণীয় ছিল। একজনকে স্বামীর কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, অন্যজনকে দেশের ঐতিহ্য মূলক পোশাক শিল্প নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তর যথারীতি ভিন্ন আসে। কিন্তু মুকুট আসে একজনের মাথায়। সেই প্রসঙ্গে আলোচনা পূর্বে একবার ছোট্ট করে সুস্মিতা সেন ও ঐশ্বর্য রাইকে নিয়ে আলোচনা করা যাক।
সালটা ১৯৯৪, বঙ্গতনয়া প্রথমবার ভারতকে দিয়েছিলেন মিস ইন্ডিয়া ও মিস ইউনিভার্সের শিরোপা। সেই বছরই রানার্স আপ হয়ে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন আরও এক বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই। ওই মহা যজ্ঞে দিল্লীর সরোজিনী নগর মার্কেট থেকে মিস ইন্ডিয়া খেতাবের গাউনের কাপড় কিনে বাড়ির দর্জিকে দিয়ে বানিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন সুস্মিতা। মাত্র ১৮ বছর বয়সে মিস ইন্ডিয়ার মুকুট মাথায় তুলে নেন সুস্মিতা।
সালটা ১৯৯৪, ঐশ্বর্য রাই ওই একই মঞ্চে ছিলেন। সেদিন সকলে ভেবেছিলেন ঐশ্বর্য রাইয়ের মাথায় উঠবে ভারত সুন্দরীর খেতাব। জিৎ নিশ্চিত। কিন্তু শেষ ট্রাই ব্রেকার রাউন্ডে গল্প অন্য জায়গায় গিয়ে পৌছায়।
দুই প্রতিযোগীকে দুটি প্রশ্ন করা হয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। ওই উত্তর মিস ইন্ডিয়ার মুকুট পৌঁছে দেয় সুস্মিতার মাথায়। কী সেই প্রশ্ন? প্রশ্ন প্রথমেই বলা হয়েছে। তাও ঐশ্বর্যের জন্য প্রশ্ন ছিল – যদি আপনাকে স্বামীর গুণাবলীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কি দ্য বোল্ড অ্যান্ড বিউটিফুল থেকে রিজ ফররেস্টার বা সান্তা বারবারা থেকে ম্যাসন ক্যাপওয়েলে গুণাবলীর সন্ধান করবেন? ” এবার আসি উত্তরে। ঐশ্বর্যের উত্তর ছিল যে তিনি ম্যাশনকে পছন্দ করেন কারণ তিনি খুবই যত্নশীল এবং মজাদার। অর্থাৎ স্বামীর মধ্যে কেয়ারিং এবং সেন্স অফ হিউমার ক্যারেকটার বেশি পছন্দ করেন।
সুস্মিতাকে টেক্সটাইল হেরিটেজ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, সুস্মিতা মহাত্মা গান্ধীর কথা স্মরণ করে বলেন, “আমি মনে করি এটি মহাত্মা গান্ধীর খাদি দিয়ে শুরু হয়েছিল……” অবশ্য এরপরে তিনি এও বলেছিলেন যে আমি খাদি বস্ত্র এখনও পর্যন্ত পড়িনি, তবে পড়ার ইচ্ছা আছে।
উত্তরের ফারাক এবং উত্তরের স্বচ্ছতা সেদিনের মিস ইন্ডিয়ার মুকুট তুলে দিয়েছিল সুস্মিতা সেনের মাথায়।