মূলত, শার্লিন চোপড়ার বয়ানের ভিত্তিতে এবং অন্যান্য কারণ বশত মুম্বাইয়ের কোটিপতি তথা শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। শার্লিন একাধিকবার দাবী করেছেন রাজ তাকে বহুবার যৌন নিপীড়ন করার চেষ্টা করেছিলেন। শার্লিনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিলেন। এদিকে শার্লিনের স্পষ্ট জবাব, তিনি কখনোই রিল ও রিয়েল গুলিয়ে ফেলেননি।
শার্লিন এও জানান যে রাজ শিল্পার নাম করে তাকে বিভ্রান্ত করতেন। শিল্পা নাকি শার্লিনের ছবির ও ভিডিওর প্রশংসা করতেন, এমনটাই রাজ জানিয়েছেন শার্লিনকে। এছাড়া এও জানা যায় যে শিল্পা শেট্টির স্বামীর হাত ধরেই এই জগতে এসেছিলেন পুনম পাণ্ডে ও শার্লিন চোপড়া। সূত্রের খবর, একটা সময় এক একেকটি প্রজেক্টের জন্য রাজের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পেতেন শার্লিন চোপড়া। প্রায় ১৫ থেকে ২০টি প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন তিনি। শুধু রাজ কুন্দ্রা নন, আরও কয়েকজন এই পর্ন কনটেন্ট তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।যদিও মাস্টারমাইন্ড ছিলেন নাকি রাজ কুন্দ্রা নিজে।
রাজের কাজ ছিল পর্ণ ও অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি করা। অর্থাৎ তার একটি অ্যাপ ছিল, যার মাধ্যমে তিনি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট বিদেশে ছড়িয়ে দিতেন। অর্থাৎ, বিদেশের এক OTT প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হত। সাতদিন পর নাকি সেগুলি আপনা থেকেই ডিলিট হয়ে যেত। রাজ কুন্দ্রার কীর্তি অনেক আগে থেকেই শুরু। পর্ণ কাণ্ডে নাম জড়ালেও, এর আগে ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়ান তিনি। তখন তিনি রাজস্থান রয়্যালসের মালিক ছিলেন। ২০১৩ সালের আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কাণ্ড ঘটেছিল।
সম্প্রতি শার্লিন রাজের ও তার একটি পুরোনো ছবি শেয়ার করেন। পোস্ট করা ছবিতে শার্লিনকে কালো ব্রা আর শর্টস পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পায়ে তার ম্যাচিং স্নিকার্স। তাঁর বা দিকে রাজ কুন্দ্রা এবং ডান দিকে আরও এক ব্যক্তি। ছবি পোস্ট করে শার্লিন লেখেন, “এই ছবিটি ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ এ তোলা হয়েছিল। এটি ছিল অ্যাপের শুটিংয়ের প্রথম দিন। এর আগে আমি কখনও কোনও অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হইনি। তাই ওই দিনের শুটিং নিয়ে উৎসাহিত ছিলাম।’
View this post on Instagram