তনুজা নামটা শুনলেই মনে হয় সাদা কালো পর্দার সুন্দরী দক্ষ অভিনেত্রী। তনুজা নাম শুনলে আরো একটা কথা মাথায় আসে, তিনি হলেন কাজলের মা। এই তনুজা একবার তার পরিচালকের কাছে এক জোরালো থাপ্পড় খেয়েছিলেন গালে। তারপর বাপ বাপ করে অভিনয় শিখেছিলেন।
একবার একটি ছবির শ্যুটিং চলছিল, ছবিটির নাম ‘হামারি ইয়াদ আয়েগি’ । এই ছবিতে তনুজাকে কোনো একটি সিনে কাঁদতে হবে। সেদিন তিনি কিছুতেই কাদতে পারছিলেন না। কাদতে গেলেই নাকি তার হাসি পেত। অথচ, ওই বিশেষ চরিত্রের জন্য তার চোখের জল খুব জরুরি। পরিচালক বারবার শট রেডি করছেন আর বারবার তা নষ্ঠ হচ্ছে।
এমন সময় পরিচালক এসে তনুজার কাছে হাসির কারণ জানতে চাইলে তনুজা বলেন যে ওই দিন তাঁর কাঁদার মন নেই। ব্যাস পরিচালকের আ্যকশন শুরু। সবার সামনে গেলে চড় মেরে দেন পরিচালক। ভাবছেন কে এই পরিচালক? ওনার নাম কিদর শর্মা। সেইসময় তার হাত দিয়ে বহু হিন্দি সিনেমা তৈরি হয়েছে। বাস্তবিক দিক থেকে তিনি একটু কঠোর স্বভাবের ছিলেন।
যাইহোক, পরিচালকের হতে চড় খেয়ে সোজা বাড়ি যান। গিয়েই মায়ের কাছে নালিশ। ওহ এই প্রসঙ্গে জেনে নিন, তনুজার বাবা হলেন কুমারসেন সমর্থ এবং মা শোভনা সমর্থ। এদের চার সন্তানের মধ্যে তিনি একজন। মা শোভনা নিজেও একজন প্রভাবশালী অভিনেত্রী ছিলেন। ভেবেছিলেন মাকে দিয়ে বলালে কাজে দেবে।
সেদিন সব কথা শুনে তনুজাকে সঙ্গে নিয়ে ওই পরিচালকের কাছে যান। গিয়ে কোনো কথা না বলে ওই পরিচালকের সামনে তনুজার অন্য একটি গালে সপাটে থাপ্পড় দেন তিনি। মায়ের হাতে চড় খেয়ে চমকে যান তনুজা। কোনো কিছু বোঝার আগে তার মা শোভনা দেবী পরিচালককে বলেন যে নিন শুরু করুন, ও এবার কাঁদবে এবং পরিচালককে সেই অবস্থাতেই কান্নার দৃশ্যটি শ্যুট করে নিতে বলেন মা শোভনা। এরপর থেকে সেই তনুজা হয়ে ওঠেন একজন দক্ষ অভিনেত্রী। কি কান্না কি হাসি সবেতেই পারফেক্ট শট দিতেন।