GossipHoop Plus

হৃত্বিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে সাহসী চুম্বন, বেশি সাহস দেখিয়ে বিপদে পড়েছিলেন ঐশ্বর্য

বিশ্বসুন্দরীর প্রতিযোগিতা জেতার পর সিনেমায় পদার্পণ। প্রথম থেকেই দর্শক মনে একটা কৌতূহল তৈরি করে দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya Rai)। সৌন্দর্য বুদ্ধিমত্তার মিশেলে অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কেরিয়ার শুরুও করেছিলেন সফল ভাবে। তাঁর সিনেমা বাছার দক্ষতা, বারংবার তাঁর বিচক্ষণতাকেই তুলে ধরত। কিন্তু একটি ছবির জন্য বিপদের মুখে পড়তে হয়েছিল ঐশ্বর্যকে। হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan) সঙ্গে অনস্ক্রিন চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করে আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।

কথা হচ্ছে ‘ধুম ২’ ছবির ব্যাপারে। ২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। ধুম ২ তে মুখ্য চরিত্রাভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হৃত্বিক এবং ঐশ্বর্য। তাঁদের রসায়ন ছবিটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল। অনেক অভিনেতার সঙ্গেই কাজ করেছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু হৃত্বিকের সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন রসায়ন যেন অন্য ইঙ্গিতবহ হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে তাঁদের অনস্ক্রিন চুম্বন দৃশ্য দেখে মুখ হাঁ হয়ে গিয়েছিল অধিকাংশ দর্শকের।

ঐশ্বর্য এবং হৃত্বিক

এর আগে কোনো ছবিতেই এমন বোল্ড অবতারে দেখা যায়নি ঐশ্বর্যকে। উপরন্তু এটাই ছিল তাঁর প্রথম অনস্ক্রিন চুম্বন দৃশ্য। সে সময়ে দৃশ্যটি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। অনেকদিন ধরে লেখালেখি হয়েছিল সংবাদপত্রে। কিন্তু বিষয়টা যে ওখানেই থেমে থাকেনি তা পরে নিজের কথায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। এক বিষ্ফোরক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, ওই চুম্বন দৃশ্যের জন্য নাকি বেশ কিছু আইনি চিঠি পেয়েছিলেন তিনি।

ঐশ্বর্যকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখে মন ভেঙেছিল অনেক দর্শকের। অনুরাগীরা বড়সড় ঝটকা খেয়েছিলেন। অনেকেই চিঠি পাঠিয়ে কৈফিয়ত দাবি করেছিলেন ঐশ্বর্যর কাছে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ঐশ্বর্য অনেকের কাছে আইকন। তাঁকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখে মানুষ। তিনি এমন একটি দৃশ্যের জন্য কীভাবে রাজি হতে পারেন? অভিনেত্রী অবশ্য ওই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি জানতেন এমন কিছু হতে পারে। তিনি সাধারণত পর্দায় এমন ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের বিরোধী। কিন্তু ধুম ২ তে নিজের ইমেজ ভাঙতে চেয়েছিলেন ঐশ্বর্য। তাছাড়া তাঁর আগেই অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীই এমন দৃশ্য করেছিলেন। তবে এরপরে আর এমন দৃশ্যে বিশেষ দেখা যায়নি ঐশ্বর্যকে।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই