২৫ বছর আগে দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল হিন্দি ছবির সেটে। তারপরেই ধীরে ধীরে আলাপ হয়, বাড়তে থাকে বন্ধুত্ব। তারপরই মন বিনিময় হয়েছিল দুজনের মধ্যে। আর সেই সময়ে দুজনেরই একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। ৪ বছর পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও অভিনেত্রী অনড় থাকায় বাধ্য হয়েই মেনে নেন পরিবার। তারপরই ১৯৯৯ সালে পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে ঘরোয়াভাবেই বিয়ে সারেন দুজনে। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ২১ বছর। এরা আর কেউ নন বলিউডের জনপ্রিয় জুটি অজয় দেবগণ আর কাজল।
বর্তমানে কাজল ও অজয় দেবগণ বলিউডের এক সুখী দম্পতি। কাজল ও অজয় দেবগণের সম্পর্কে থাকা এক অদ্ভূত ম্যাজিক। এদের লাভস্টোরি অনস্ক্রিন থেকে অফস্ক্রিন হোক সবসময় রোম্যান্সে ভরপুর। এরা এক কথায় হলেন বলিউডের লাভ বার্ডস।কিন্তু এর মধ্যে থাকা একাধিক ঝড়ে ঘর ভাঙতে বসেছিল কাজলের।
বলিউডের প্রতিটি জুটির মধ্যে এসেছে একজন তৃতীয় মানুষ। কাজল আর অজয়ের ক্ষেত্রে অনথা হয়নি। কখনও সংসারিক বিবাদ তো কখনও আবার অজয়ের জীবনে নতুন মানুষের আবির্ভাব তাঁদের সম্পর্কে ঝড়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একসময়ে অজয়ের জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন কঙ্গনার রানাওয়াত। তাঁর উপস্থিতি একদিন কাজল আর অজয়ের দাম্পত্য জীবন নষ্টের পথে ছিল। প্রথম কঙ্গনার সাথে আলাপ হয় দুজনের প্রথম দেখা ওয়ান্স আপঅন এ টাইম ইন মুম্বই-এর সেটে। দুজনকেই জুটি হিসেবে বেশ মানিয়েছিল। কিন্তু এই জুটি হিট হয়েছিল পর্দাতে।
তারপর রিল থেকে রিয়েল লাইফে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিলেন কঙ্গনা। নিজের বেশ কিছু ছবির হিরোইন হয়ে উঠেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। দিন দিন সম্পর্কের গভীরতা বেড়েই চলেছিল। আর এই প্রেম কম বেশি সকলের নজর কাড়ে।
অজয় দেবগণ প্রতিদিন অভিনেত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেতেন সেটে। এক সঙ্গে সময় কাটাতেন তাঁরা। আর বেশী দেরী হয়নি স্ত্রীর কাছে এই খবর পৌছাতে। মুহূর্তেই ফাটল ধরে সম্পর্কে। বিস্ফোরক হয়ে কাজল জানিয়েছিলেন, অজয় এই পরকিয়া প্রেম করলে তিনি ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন।
নিজের বিয়ে টেকানোর জন্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেগতিক দেখে নিজেকে গুঁটিয়ে নেন অজয়। সব সম্পর্ক ঘুচিয়ে স্ত্রীর সাথে সংসারে মন দেন অভিনেতা।কিন্তু তারপরই একটি সাক্ষাৎকারে বেফাঁস মন্তব্য করেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি বলেন বিবাহিত পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়ানোই তাঁর ভুল ছিল।