অক্ষয়কুমার (Akshay kumar) ও টুইঙ্কল খান্না (twinkle khanna) বর্তমানে বলিউডে পাওয়ার কাপল হিসাবে পরিচিত। কিন্তু তাঁদের জার্নি এতটা সহজ ছিল না। বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন টুইঙ্কল।
দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর অক্ষয় ও টুইঙ্কল এনগেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁদের এনগেজমেন্টের প্ল্যান হবার পরেও তার ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরেই টুইঙ্কল জানতে পেরেছিলেন, তিনি মা হতে চলেছেন। টুইঙ্কল অক্ষয়কে এই কথা জানানোর পর অক্ষয় দ্বিতীয়বার এনগেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নেন। কারণ প্রথমবার এনগেজমেন্ট তিনিই ভেঙেছিলেন। 2001 সালে দ্বিতীয়বার অক্ষয় ও টুইঙ্কলের এনগেজমেন্ট হয়। 2001 সালের 17 ই জানুয়ারি মুম্বইয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার আবু জানি (Abu jani), সন্দীপ খোসলা (sandip khosla)-র বাড়িতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অক্ষয় ও টুইঙ্কল সাত পাকে বাঁধা পড়েন। অক্ষয় ও টুইঙ্কলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন দুইজনের পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা।
আমির খান (Amir khan) একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি বিয়েবাড়িতে ঢুকতেই তাঁর হাতে ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে বিয়ের ভিডিও করতে বলা হয়েছিল। রাজেশ খান্না (Rajesh khanna) ও ডিম্পল কাপাডিয়া (Dimple kapadia) টুইঙ্কলের কন্যাদান করেছিলেন। অক্ষয় টুইঙ্কল প্রসঙ্গে সবসময় বলেছেন, টুইঙ্কল তাঁর সবচেয়ে ভালো বন্ধু। নিজের সফলতার জন্য টুইঙ্কলকে ধন্যবাদ দিয়ে অক্ষয় বলেছেন, যে কোনও পুরুষের জীবনে টুইঙ্কলের মতো নারীই সেরা নারী হতে পারেন। অক্ষয় যখন ডিপ্রেসড হয়ে যান, তখন টুইঙ্কল তাঁর পাশে থাকেন। এমনকি অক্ষয় যখন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন, তখন টুইঙ্কল তাঁর ভুল ধরিয়ে দেন।
তবে যদি টুইঙ্কল অভিনীত ফিল্ম ‘মেলা’ ফ্লপ না করত, তাহলে হয়ত, অক্ষয় ও টুইঙ্কলের এই বিয়ে হত না। আসলে টুইঙ্কলের ফিল্ম কেরিয়ারের পক্ষে সেই সময়টা ছিল যথেষ্ট খারাপ। ‘মেলা’ ছিল টুইঙ্কলের শেষ আশা। এর আগে অক্ষয় টুইঙ্কলকে অনেকবার বিয়ের জন্য বললেও টুইঙ্কল রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন, ‘মেলা’ ফ্লপ করলে তিনি বিয়ে করবেন। খোদ অক্ষয় নিজে ‘কফি উইথ করণ’-এ এসে এই কথা জানিয়েছিলেন। ‘মেলা’ ফ্লপ করেছিল। এরপরেই অক্ষয়কে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টুইঙ্কল। 2002 সিলেট তাঁদের প্রথম সন্তান আরভ (Arav)-এর জন্ম হয়। 2012 সালে জন্ম হয় অক্ষয় ও টুইঙ্কলের কন্যা নিতারা (Nitara)-র।