Saregamapa: চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে কতটা আফসোস করছেন আলবার্ট কাবো!
শেষ হয়েছে জি-বাংলার প্রখ্যাত মিউজিক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’। রবিবার ছিল গ্র্যান্ড ফিনালে। এদিন তারকাখচিত মঞ্চের উপরেই ৬ সেরা শিল্পী নিজেদের গানের মূর্ছনায় ডুবিয়ে রাখেন দর্শক ও বিচারকদের। কিন্তু সেই ৬ প্রতিযোগীর মধ্যে বিচারকদের বিচারে সেরার সেরা শিরোপা পান দুজন- পদ্মপলাশ হালদার ও অস্মিতা কর। বিচারকদের বিচারে দ্বিতীয় হয়েও দর্শকদের বিচারে অর্থাৎ ‘ভিউয়ার্স চয়েস’ খেতাব জিতে নেন উত্তরবঙ্গের গায়ক আলবার্ট কাবো। আর এই গায়কের চ্যাম্পিয়ন না হওয়া নিয়ে দফায় দফায় ক্ষোভ উগরে দেন দর্শকরা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দেখা যায় ‘জাস্টিস ফল আলবার্ট কাবো’র স্লোগান। আর এই বিতর্কের মাঝেই এবার গণমাধ্যমে অকপট হলেন আলবার্ট।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন। এছাড়াও সমস্ত বিতর্ক নিয়েও কথা বলেন এই উদীয়মান শিল্পী। তার কথায় দ্বিতীয় হওয়া নিয়ে কোনো আফসোস নেই। তিনি বিচারকদের সিদ্ধান্তকে মাথা নত করের স্বাগত জানান। তার কথায়, “আমার মধ্যে কোনওরকম আফসোস নেই। জি বাংলা আমাকে যে প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে তাই আমার কাছে যথেষ্ট। আগে কেউ চিনতো না অ্যালবার্ট কাবোকে। এখন আমাকে সবাই চিনছে, জানছে- সবটাই জি বাংলা সারেগামাপা-র দৌলতে। আমি সন্তুষ্ট। রানার্স আপ হওয়াটাও বড় ব্যাপার আমার কাছে।” এছাড়াও বিচারকদের প্রসঙ্গে আলবার্ট বলেন, “ওখানে যাঁরা বিচারক ছিলেন সকলেই লেজেন্ড, গুণী মানুষ, আমি ওঁনাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত। আমার কাছে বিচারকদের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য।”
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে মাতামাতি প্রসঙ্গে এই গায়ক এটাকে দর্শকদের ভালোবাসা বলে দাবি করেন। তার কথায়, “এটা কিন্তু ওঁদের রাগ নয় ভালোবাসা। ওঁরা মন থেকে সাপোর্ট করেছিলেন আমাকে, চেয়েছিল আমি জিতি। তাই হয়ত মন খারাপের জায়গা থেকে এগুলো বলেছেন তাঁরা। আমিও দেখেছি সেই সব কমেন্ট।” এছাড়াও এই কয়েকমাসের জার্নি তার জীবনের সবথেকে সেরা জার্নি বলেও দাবি করেন কাবো।
প্রসঙ্গত, আলবার্ট কাবো লেপচার জীবন শুরু হয় এক ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে। সেই থেকে গানের প্রতি অনুরাগ এবং দক্ষতা ও কঠিন অধ্যবসায় তাকে পৌঁছে দেয় ‘সারেগামাপা’-র মঞ্চ অব্দি। আজ বাংলা জুড়ে তার ভক্তের শেষ নেই। তাই এই সবকিছু অবদান তিনি ভুলতে চাননা। বরং সবকিছুর জন্য ‘জি’ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাতে চান।
View this post on Instagram