Hoop PlusReality show

চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে মেয়ে, একরত্তি এভিলিনের এক বছরের জন্মদিনে আকুল অ্যালবার্ট কাবো

জি বাংলা সারেগামাপার মঞ্চ যাদের যাদের বিশেষ পরিচিতি দিয়েছে তাদের মধ্যে একজন অ্যালবার্ট কাবো (Albert Kaboo)। কালিম্পংয়ের ছেলে কাবো জীবনে কোনোদিন প্রথাগত সঙ্গীত শিক্ষা না পেলেও তাঁর গলার সুর মুগ্ধ করেছিল বিচারক সহ শ্রোতাদের। শোয়ের পর বিজেতার শিরোপা না পেলেও শ্রোতাদের মতে তিনিই ছিলেন যোগ্য বিজয়ী। কিন্তু সারেগামাপা শেষ হওয়ার পর জীবনটা যেমন হওয়ার কথা ছিল তেমন হয়নি কাবোর। নিজের একরত্তি মেয়েকে হারান তিনি।

সারেগামাপা চলাকালীনই মেয়েকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অ্যালবার্ট কাবো। জানিয়েছিলেন, মাত্র কয়েক মাস বয়সের শিশুটির বড় রোগ। তাঁর হৃৎপিণ্ডে একটি বড় ছিদ্র রয়েছে। শো থেকে জেতা অর্থ দিয়ে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারবেন তিনি, এমনটাই ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন কাবো অনুরাগীরা। কিন্তু মাস কয়েক আগেই আসে সেই মর্মান্তিক দুঃসংবাদ। মাত্র আট মাস বয়সেই এই দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নিয়েছে কাবোর ছোট্ট রাজকুমারী এভিলিন। গত বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর মেয়ের জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন পোস্ট করেন কাবো, যা দেখে চোখ ভিজেছে সকলেরই।

এক বছর আগে এই দিনেই জন্ম হয়েছিল এভিলিনের। কিন্তু মেয়ের জন্মদিনে সে-ই নেই কাছে। আট মাস জুড়ে মেয়ের সঙ্গে কাটানো নানান মুহূর্তের স্মৃতি জুড়ে একটি ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করেছেন গায়ক। সঙ্গে লিখেছেন, ‘এভিলিন, যেখানেই থাকো, আনন্দে থেকো। তোমার জন্যই আজ আমরা এখানে এসে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের জীবনে তোমার অস্তিত্ব ছিল ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আজ তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। আমাদের ছোট্ট রাজকুমারী এভিলিন, শুভ জন্মদিন। শান্তিতে ঘুমাও’।

জানা যায়, মেয়েকে অনেক জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছিলেন কাবো এবং তাঁর স্ত্রী, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। চোখে জল নিয়ে তাঁর স্ত্রী পূজা বলেছিলেন, একদিন মেয়ের শরীরটা নীলচে দেখেই ডাক্তারের কাছে ছুটেছিলেন। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল আট মাসের শিশুকে। ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছিলেন চিকিৎসক। তারপর খুলে দেওয়া হয় ভেন্টিলেটর। মেয়েকে আর জীবিত অবস্থায় বাড়িতে ফেরাতে পারেননি তাঁরা। একরত্তি মেয়েকে হারানোর শোক বুকে চেপেই জাতীয় সারেগামাপার মঞ্চে পারফর্ম করছেন কাবো। সেখানেও একই রকম ভাবে বিচারক এবং শ্রোতাদের মন জয় করছেন তিনি।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই